বিএনএ ডেস্ক: কলকাতায় খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেছেন, ‘আকতারুজ্জামান শাহিনের সঙ্গে বাবার কোনো ব্যবসা ছিল না। সে বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধুও না। বাবা হত্যার সঙ্গে যত বড় নেতাই জড়িত থাকুক না কেন আমি তাদের বিচার চাই।’ মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে এ মন্তব্য করেন।
ডরিন বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে আমার বাবার বিরুদ্ধে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচা। তার সঙ্গে আমার বাবার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধীতা রয়েছে। এমনকি সেই নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আমার বাবার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ের অনেক নেতাকে সন্দেহ হচ্ছে আমার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার। এখন অনেকের নাম আসছে আমার বাবার কিলারদের অর্থ যোগান দিয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসা হোক।’
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা অত্যন্ত দক্ষ। আমার বাবা হত্যাকে ভিন্নখাতে নিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচার কয়েকজন কাছের অনুসারি পাঁয়তারা করছে। সেদিকে নজর দিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হলে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন। সেই সঙ্গে এমপি আনারের মরদেহ শনাক্ত হলে অনেক কিছুই প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের এ পর্যায়ে ভারতের কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা মাংসের টুকরাগুলো মানুষের বলে জানা গেছে। তবে সেগুলো এমপি আনারেরই কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ডিএনএ পরীক্ষার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনা