স্পোর্টস ডেস্ক: লা লিগার শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে আগেই। সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। তাই এই ম্যাচে মূল দলের ১০ জনই ছিলেন না। কেবল রক্ষণভাগের অ্যান্তোনিও রুডিগার ছিলেন। এমন রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষেও পারলো না গ্রানাডা। নিজেদের মাঠে ৪-০ ব্যবধানে স্রেফ উড়ে গেল দলটি।
শনিবার (১১ মে) প্রতিপক্ষের ফ্রান গার্সিয়া চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেওয়ার পর প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্দা গিলের। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ম্যাচ থেকে গ্রানাডাকে একরকম ছিটকে দেন ব্রাহিম দিয়াস।
ম্যাচের শুরুতেই দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে রিয়াল। তাতে নিজেদের রক্ষণ সামলে প্রতি-আক্রমণ করে গ্রানাডা। তবে গোলপোস্টে থিবো কোর্তোয়া থাকায় কোনো চেষ্টা কাজে আসেনি।
রিয়াল একটানা আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। তাতে ফল আসে ম্যাচের ৩৮তম মিনিটের মাথায়। বাইলাইন থেকে দিয়াসের ক্রসে ডামি করেন লুকা মদ্রিচ। সঙ্গে লেগে থাকা একজনের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে জাল খুঁজে নেন গার্সিয়া। রিয়ালের মূল দলের হয়ে এটাই তার প্রথম গোল।
রিয়াল এগিয়ে যায় যোগ করা সময়ে। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গিলেরকে লক্ষ্য করে ক্রস দেন গার্সিয়া। ডি-বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন গিলের। তাতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান ৩-০ করেন দিয়াস। ৪৮তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে গ্রানাডার তিন খেলোয়াড়কে ছিটকে ফেলে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। এই গোলের ১০ মিনিট পর আবারও গোল এবং দৃশ্যপটে দিয়াস।
বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মদ্রিচ। চাইলেই তিনি গোলের জন্য শট নিতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে কাটব্যাক করেন দিয়াসকে। প্রথম স্পর্শে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রায় উল্টো দিকে ঘুরে বাঁ পায়ের শটে জালে পাঠান তিনি। লা লিগার চলতি আসরে এটি মরক্কোর ফরোয়ার্ডের অষ্টম গোল।
বাকি সময়ে আর গোল না হওয়ায় অনায়াস জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল। এই জয়ে ৩৫ ম্যাচে ২৮ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৯০ পয়েন্ট রিয়ালের। ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে জিরোনা। ৩৪ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে বার্সেলোনা। ৩৫ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে আছে গ্রানাডা।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ