বিএনএ,নোবিপ্রবি: আমেরিকার ইন্টেলে কর্মরত কুয়েট অ্যালামনাই এর উদ্যোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অংকুর স্কলারশিপ প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অঙ্কুর স্কলারশিপ এর যাত্রা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রোগ্রামের উদ্বোধন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আশিকুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক সুব্রত ভৌমিক। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট সুপারভাইজার সহকারী অধ্যাপক ওসমান আলী এবং প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর প্রভাষক মো. ফয়সাল আহমেদ।
প্রাথমিকভাবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। তারা হলেন মো. আফিফ মোস্তাকিম, ইমান হোসেন, এনায়েত কবির, মো. আফজাল হোসেন, মো. শাহিদুল ইসলাম, মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী, ঐশী সরকার, আমিরুল ইসলাম, এনামুল হাসান, মো. নূরুন্নবী, এস এম রেজাউল রাহিম রনি, সুমি আক্তার প্রিয়া, নাদিয়া রহমান রিয়া, দোলা সাহা, রিয়াজ উদ্দিন, আরমান চৌধুরী নাসিম। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডক্টর মো. আশিকুর রহমান খান বলেন, ইইই বিভাগের সাথে তার সুসম্পর্ক বিদ্যমান এবং তা ভবিষ্যতে অটুট থাকবে এবং তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত প্রত্যাশা করেন।
ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক সুব্রত ভৌমিক বলেন, এই বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। টিউশনির জন্য যেন শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত না হয় এই বৃত্তি প্রদান সেই ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে অঙ্কুর স্কলারশিপের কো-অর্ডিনেটর ইইই বিভাগের প্রভাষক মো. ফয়সাল ইসলাম বলেন, পড়াশোনার গতি সচল এবং শিক্ষার্থীদের উপকারের দিক বিবেচনা করে প্রত্যেক মাসে শিক্ষার্থীদের ৩০০০ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হবে। কিন্তু যদি কোন শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করতে ব্যর্থ হয় তবে বৃত্তির টাকা প্রাপ্তিতে সে শিক্ষার্থী আর অন্তর্ভুক্ত থাকবে না।
বৃত্তির টাকা পেয়ে ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আফজাল হোসেন তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, অনেক টাকা পয়সার সমস্যা হলেও সরাসরি কখনো কাউকে বলা হয়নি, টিউশন ও পরিবারের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা খুবই দুরুহ ব্যাপার ছিল। এই স্কলারশিপের টাকা পেলে আমি খুবই উপকৃত হবো এবং এর জন্য আমার পড়াশোনার গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
বিএনএ/ শাফি, ওজি