বিএনএ বাগেরহাট: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের নদ-নদী ও খালের পানি। বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের নদী-খালে জোয়ারের পানি ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দেড় ফুট বেশি উঁচু। বঙ্গোপসাগরের দুবলা চরে পানি বেড়েছে তিন ফুটের বেশি।
বন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অমাবস্যার গোনের (কৃষ্ণপক্ষ বা মরা গোন) সময় জোয়ারের পানির উচ্চতা কম হয়ে থাকে। আর পূর্ণিমার গোনে (শুক্লপক্ষ) পানি বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি মরা গোনে (অমাবস্যায়) স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বেড়েছে মূলত মোখার প্রভাবে।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুন্দরবন উপকূলে বাতাসও ছিল বেশি। এতে নদীতে ঢেউ বেড়েছে। অন্যদিকে মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন বিভাগের সব রেঞ্জ, স্টেশন ও টহল ফাঁড়িতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল সাবধানে রাখার পাশাপাশি বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদে অবস্থানের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য বন বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পযাপ্ত পরিমাণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারসহ শুকনো খাবারও মজুতের জন্য প্রত্যেক অফিসকে বলা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল পর্যটন, বন্যপ্রাণী প্রজনন ও তথ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, সাধারণত মরা গোনে জোয়ারে পানির উচ্চতা কম হলেও মোখার প্রভাবে বুধবার রাত থেকে সুন্দরবনের নদী-খালে পানি বেড়েছে। মোখা যত কাছে এগিয়ে আসতে থাকবে, পানি ততই বাড়বে।
ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ কর্মস্থলে থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সাবধানে রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাবার মজুত রেখে সবাইকে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা বিভাগীয় অধিদপ্তর দিয়েছে বলেও জানান আজাদ কবির।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ