বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ১৬ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার ১নং আসামী রকি দত্তকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে খাগড়াছড়ির মহিলা কলেজ রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭।
গ্রেফতার রকি দত্ত (২০), চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার সিংহরা গ্রামের বিধান দত্তের ছেলে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৭ এসব তথ্য জানায়।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী ১৬ বছরের কিশোরী চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বসবাস করত। ওই কিশোরীর সাথে আসামী রকি দত্তের (২০) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৫ মার্চ রকি দত্ত কিশোরীকে ব্যক্তিগত সিএনজিতে পারকি সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে নিয়ে যায়। পরে রকি ভুক্তভোগীকে ইছামতি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা তার ৩ সহযোগী পলাশ, শীপঙ্কর এবং চন্দনসহ রকি কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। এসময় টহল পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে ধর্ষকরা ভুক্তভোগীতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল পুলিশ ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
র্যাব আরও জানায়, ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর এজাহারনামীয় আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। আনোয়ারা থানা পুলিশ গণধর্ষণের সাথে জড়িত আসামী পলাশ (২৬), শীপঙ্কর (২৭) এবং চন্দনকে (২৫) আটক করে কিন্তু উক্ত ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী রকি দত্ত পলাতক থাকে। র্যাব ভুক্তভোগী নাবালিকা কিশোরীর বিষয়টি মানবিকতার সাথে গ্রহণ করে গণধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামী রকি দত্তকে গ্রেফতারে ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে খাগড়াছড়ির মহিলা কলেজ রোড এলাকা থেকে রকি দত্তকে গ্রেফতার করে। আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে। গ্রেফতার আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/বিএম