বিএনএ, স্পোর্টস ডেস্ক :আইপিএলের এই আসরে প্রথম বলেই উইকেট পেলেন সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ওভরে বল হাতে নিয়েই ঋদ্ধিমান সাহাকে বোল্ড করেন তিনি। ১০ রানে নেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ২ উইকেট। চেন্নাইয়ের চেপুকে এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স ৬ উইকেটে ১৮৭ রান করে।
এর আগে ব্যাট হাতে সাত নম্বরে নামেন সাকিব। শেষ দিকে নেমে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাননি। ৫ বল খেলে করেন ৩ রান। শেষ বলে ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হন আব্দুল সামাদের ক্যাচ হয়ে। তবে বল হাতে জ্বলে উঠলেন শুরুতেই। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ঋদ্ধিামানকে ৭ রানে মাঠ ছাড়া করেন বাঁহাতি স্পিনার। তার বল হায়দরাবাদ ওপেনারের ব্যাটে লেগে নিচু হয়ে স্টাম্পে আঘাত করে।
তার আগের ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা হায়দরাবাদ ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে ৩ রানে আউট করেন। ১৮৮ রানের লক্ষ্যে নেমেছে হায়দরাবাদ।
অবশ্য এই স্পেলে পরের দুই ওভারে সাকিব সুবিধা করতে পারেননি। দ্বিতীয় ওভারে ১২ রান দেন তিনি, জনি বেয়ারস্টো একটি ছয় ও মানীষ পান্ডে একটি চার মারেন। পরের ওভারে বাঁহাতি স্পিনারের বলে ১০ রান তোলে এই জুটি, যার মধ্যে একটি ছয় আসে মানীষের ব্যাটে। প্যাট কামিন্সের বলে ৯২ রানের এই শক্ত জুটি ভাঙার পর নিজের শেষ ওভার করতে নামেন সাকিব। দলের ১৪তম ওভারে একটি ছয়সহ ১১ রান দেন তিনি। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন সাকিব।
রোববারের (১১ এপ্রিল) আগে আইপিএলে সাকিব খেলেছেন মোট ৬৩ ম্যাচ। ব্যাট হাতে ৪৬ ইনিংসে তিনি করেছেন ৭৪৬ রান। চার ৭০টি ও ২০টি ছয় তার ঝুলিতে। সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৬ রানের। তার ব্যাটিং গড় ২১.৩১ ও স্ট্রাইক রেট ১২৬.৬৬।
বল হাতেও বেশ সাফল্য রয়েছে সাকিবের, নিয়েছেন ৫৯টি উইকেট। তার সেরা বোলিং ফিগার ১৭ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার। তার বোলিং ইকোনমি ৭.৪৬। এই মৌসুমেও কলকাতার বড় ভরসার জায়গা হতে চলেছেন তিনি।
সাত মৌসুম ধরে এই ক্লাবে খেলেছেন সাকিব। দুই মৌসুম আগে তাকে কলকাতা ছেড়ে দিলে ২০১৯ সালে হায়দরাবাদে খেলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার কারণে গত মৌসুমে খেলা হয়নি বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটারের।