বিএনএ, চট্টগ্রাম :চট্টগ্রামে করোনায় শহীদ চিকিৎসকদের স্মরণ এবং এ মহামারিতে চিকিৎসায় বিশেষ অবদানের জন্য চিকিৎসকদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার(১২ মার্চ )সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যারা মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে। তবে এখনও যুদ্ধ শেষ হয়নি। সবাইকে এই মহামারি মোকাবেলায় কাজ করে যেতে হবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর এবং চিকিৎসক ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইয়াং সোশ্যাল অ্যাক্টিভিজম বোর্ড- ওয়াইস্যাবের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান।
ওয়াইস্যাবের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ডা. হামিদ হোছাইন আজাদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, চমেক মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. এহসানুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ল্যাবরোটরির ইনচার্জ ড. মোহাম্মদ আল ফোরকান, বিআইটিআইডির ল্যাব ইনচার্জ ডা. শাকিল আহমেদ, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া প্রমুখ। সভায় শহীদ চিকিৎসকদের মধ্যে ১০ পরিবারের স্বজনের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া করোনাকালে বিশেষ অবদান রাখায় ২২ ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব, বিআইটিআইডি ল্যাব এবং সিভাসু ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষায় কর্মরত, করোনার রিপোর্ট প্রদানে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দায়িত্বপালনকারী এবং করোনাকালে নানাভাবে অবদান রেখেছেন এমন ১৫৫ জন ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, করোনাকালে আমরা একটা যুদ্ধ পার করেছি। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সমাজের জনহিতৈষী ব্যক্তিসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা এ যুদ্ধ করেছি। তবে এখনও সে যুদ্ধ চলছে। করোনাকালে আমরা বিশেষ একটি সময় পার করেছি। সীমিত জনবল, চিকিৎসা উপকরণ এবং অতি অল্প সময় নিয়ে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিতে হতো। কেবল সিদ্ধান্ত নেওয়া নয়, তা বাস্তবায়নও করতে হতো। একটি নোটিশের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চিকিৎসক বদলি করা হতো। প্রতিটি কাজই করতে হয়েছে খুবই দ্রুত এবং পরিকল্পিতভাবে।
সিভিল সার্জন বলেন, আজ করোনায় শহীদ চিকিৎকদের পরিবারকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। এটি তাঁদের ত্যাগের বিপরীতে কিছুই না। তাঁরা আমাদের জন্য, জাতির জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন, তার বিনিময় দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শুভাশীষ তালুকদার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. নুরুল হায়দা শামীম, চমেক হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট ডা. শুভ দাশ, রেলওয়ে হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আনিসুল হক খান।
বিএনএ/ওজি