বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: চলতি সপ্তাহে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী জোড়া ভূমিকম্প, ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের চেয়ে তিন গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান।
১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মারমারায় আঘাত হানে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এতে অন্তত ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ দিয়ারবাকিরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও উদ্ধার কাজ পরিদর্শনে যান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এসময় তিনি বলেন, দেশটির ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, যেটি ১৯৯৯ সালের চেয়ে ৩ গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল। ১৯৩৯ সালের এরজিনকান অঞ্চলে ভূমিকম্পের চেয়েও এটি ভয়াবহ এবং ধ্বংসাত্মক ছিল।
এরদোয়ান পরে সানলিউরফা পরিদর্শন করে বলেন, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কাহরামানমারাস প্রদেশকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ তুর্কিতে জোড়া ভূমিকম্পের পর থেকে কমপক্ষে ২১ হাজার ৮৪৮ জন নিহত এবং ৮০ হাজার ১০৪ জন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ১ লাখ ৬০ হাজার সেনা সদস্য ১০টি প্রদেশে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে বিদেশি উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরাও রয়েছেন। এসময় তিনি বিদেশিদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
সোমবারের ৭ দশমিক ৮ এবং ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ১০টি প্রদেশের ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলো হলো হাতায়, গাজিয়ানতেপ, আদানা, আদিয়ামান, দিয়ারবাকির, কিলিস, মালত্য, ওসমানিয়া এবং সানলিউরফা।
এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, এই বিপর্যয়ের মধ্যে কেউ অরাজকতা করার চেষ্টা করলে তাদের আটক করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
খবর পাওয়া গেছে, তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। এ অভিযোগে ৪৮ জনকে আটকও করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
সোমবার ভোরের দিকে যখন মানুষজন ঘুমিয়ে ছিলেন ঠিক তখনই আঘাত হানে এই ভূমিকম্প। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ( ইউএসজিএস) জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে।
বিএনএ/বিএম,ওজি