বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : জনসংখ্যার দিক থেকে গত প্রায় পৌনে এক শতাব্দী ধরে শীর্ষে থাকা চীনকে ছাড়িয়ে ভারত ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হতে চলেছে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পিউ রিসার্চ সেন্টারের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ ধারণা করছে, ভারত আসন্ন এপ্রিলেই চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে এটি জাতিসংঘের এই আনুমানিক প্রাক্কলন মাত্র। ওয়াশিংটন থেকে এএনআই এই রিপোর্ট করেছে। পিউ রিসার্চ সেন্টার জাতিসংঘ ও অন্যান্য উৎস থেকে তথ্য বিশ্লেষণের পর, ভারতের জনসংখ্যা এবং আগামী দশকে এর প্রত্যাশিত পরিবর্তন সম্পর্কে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের জনসংখ্যা উপাত্ত সংগ্রহ শুরুর বছর, সেই ১৯৫০ সাল থেকে ভারতের জনসংখ্যা এক বিলিয়নের বেশি বেড়েছে। ভারতে ২৫ বছরের কম বয়সী জনসংখ্যা ৪০ শতাংশেরও বেশি। ভারতের বিপরীতে বিশ্বের অপর দুটি সর্বাধিক জনবহুল দেশ চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুতবর্ধমান প্রবীণ জনসংখ্যা রয়েছে। ভারতে প্রজনন হার চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি, তবে সাম্প্রতিক দশকগুলিতে এই হার দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। তবে, ভারতে সম্প্রদায়ের ধরণ ও রাজ্য অনুসারে প্রজনন হারের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।
এছাড়া, ভারতীয় গ্রামীণ নারীর তুলনায় শহরের নারীর প্রথম সন্তান হয় গড়ে ১.৫ বছর পরে। ১৯৭০-এর দশকে পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ নির্ণয়ের প্রযুক্তি চালু হওয়ার পর থেকে, মেয়ে ভ্রুণ গর্ভপাতের কারণে মেয়ে শিশুর তুলনায় ছেলে শিশুর অনুপাত কৃত্রিমভাবে বেড়ে গিয়েছিল, যা এখন তা কমে এসেছে। গত তিন দশকে ভারতে শিশুমৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমেছে, কিন্তু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মানদন্ডে তা বেশিই রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ভারতে যত অভিবাসী প্রবেশ করে, তার চেয়ে বেশি লোক ভারতের বাইরে চলে যায়, যার ফলে অভিবাসন নেতিবাচকই থেকে যায়।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।