বিএনএ,ঢাকা:এ মাসেই দেশে আসবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনাকার করোনা ভ্যাকসিন।এরপর শুরু হবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম।আর এজন্য জোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
প্রথম দফায় আসা ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখভাগের যোদ্ধারা অগ্রাধিকার পাবেন।এর মধ্যে সরকারী জরুরি কাজে নিয়োজিতদের পাশাপাশি রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,জনপ্রতিনিধিরাও।বয়স্ক ব্যক্তিদেরও গুরুত্ব দেয়া হবে।এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।আর ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীদের এজন্য অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন এবং সাত ধরনের তথ্য দিয়ে সম্মতিপত্রে সই করতে হবে।নির্ধারিত ফরমে এসব তথ্য পূরণ করার পর ভ্যাকসিন নেয়া যাবে।২৬শে জানুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশান প্রক্রিয়া শুরু হবে।
দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার পর দেয়া হবে সনদ।তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে হবে না কোনো মহড়া।তবে দেশে ভ্যাকসিন আসলে আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও সীমিত পরিসরে অনানুষ্ঠানিকভাবে মহড়া হতে পারে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনার টিকা গ্রহণকারীর অবহিতকরণ সম্মতিপত্রে দেয়া শর্তগুলো হলো- করোনার ভ্যাকসিন সম্পর্কিত তথ্য অনলাইন ও সরাসরি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।এই ভ্যাকসিন গ্রহণের সময়/পরে যেকোনো অসুস্থতা, আঘাত, ক্ষতি হলে তার দায়ভার স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী বা সরকারের নয়। ভ্যাকসিন গ্রহণ ও এর প্রভাব সম্পর্কিত তথ্যের প্রয়োজন হলে তা প্রদান করতে হবে।কোনো রকম ঔষজধনিত এলার্জি নেই তা পরিষ্কার করতে হবে। ভ্যাকসিন দান পরবর্তী প্রতিবেদন/গবেষণাপত্র তৈরির ব্যাপারে অনুমতি দিতে হবে।এছাড়া স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে এর উপকারিতা ও পাশ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে সম্মত থাকার কথা জানাতে হবে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি