১০ডিসেম্বর(শুক্রবার) বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে সমগ্র মিয়ানমারে পালিত হয় সাইলেন্ট স্টাইক কর্মসূচি। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর দৃষ্ঠি আকর্ষনে দেশটির বিরোধী দল এ কর্মসূচি পালন করেছে। এ দিন দোকানপাট বন্ধ রেখে মানুষ ঘরে অবস্থান করেছে। ইয়াঙ্গুন সহ বড় বড় শহর ও টাউনশীপগুলোর রাস্তাঘাট বাজার মার্কেট ছিল জনশূণ্য।
এমনকি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত রাজধানী নেপিদয় এর প্রধান প্রধান এলাকাও ছিল মানুষবিহীন। সেনাবাহিনীর লোকজনের পরিচালিত দুয়েকটি দোকানপাট ছাড়া সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়িরা ঘর থেকে বের হয় নি।
১লা ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী অংসান সুচির নির্বাচনে বিজয়ি দলকে সরকারি মসনদে বসতে না দিয়ে সামরিক শাসন জারি করে। এ পর্যন্ত ১৩শতাধিক রাজনৈতিক কর্মীকে সেনা ও পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে এবং ১০হাজারের বেশি মানুষকে কারাগারে বন্দী রেখেছে। বন্দীদের মধ্যে অং সান সুকি ও তার সরকারের প্রেসিডেন্ট,মন্ত্রী,মূখ্যমন্ত্রী,বিভিন্ন মেয়র রয়েছেন।
২ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির সব বিরোধীদল ন্যাশনাল ইউনিটি গর্ভমেন্ট(এনইউজি) এর অধীনে জোটবদ্ধ হয়ে তীব্র সরকার বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন প্রদেশের সংখ্যা লঘু ক্ষুদ্রজাতি গোষ্ঠির সশস্ত্র গ্রুপ।
সূত্র: ইরাবতি নিউজ।