বিএনএ ঢাকা: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় এবং নম্বর বিভাজন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
সোমবার (১১ অক্টোবর) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং আন্ত:শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ এম আমিরুল ইসলামের সই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,আগামি ১৪ নভেম্বর এসএসসি তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হবে। আর শেষ হবে ২৩ নভেম্বর। আর এইচএসসি তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর। করোনায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সময়সীমা, নম্বর ও প্রশ্ন পদ্ধতি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। রচনামূলক পরীক্ষা এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটে এবং নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা ১৫ মিনিটে সম্পন্ন হবে। কারিগরিতে সব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এসএসসি ও এইচএসসির বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিটি বিষয়ে ৩২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেবে পরীক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রচনামূলক ২০ নম্বর এবং এমসিকিউ বা নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা ১২ নম্বরের। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৪৫ নম্বরের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষা দেবে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ৩০ নম্বর থাকবে রচনামূলক এবং ১৫ নম্বর থাকবে নৈর্ব্যত্তিক। রচনামূলক ও নৈর্ব্যত্তিকের নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
এসএসসি পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার (নোট বুক) নম্বর ২৫। নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা ব্যবহারিক খাতার নম্বর প্রদান করে নম্বরগুলো ২৮ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। কেন্দ্র ব্যবহারিক খাতার প্রাপ্ত নম্বর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে এবং হার্ড কপি সংশ্লিষ্ট বোর্ডের পরীক্ষা শাখায় (মাধ্যমিক) জমা দেবে।
আবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার (নোটবুক) নম্বর ২৫ (ক্রীড়া {তত্ত্বীয়}, লঘু সঙ্গীত, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া)। প্রতিষ্ঠান নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার নম্বর প্রদান করে নম্বরসমূহ ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। কেন্দ্র ব্যবহারিক খাতার প্রাপ্ত নম্বর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে এবং হার্ড কপি সংশ্লিষ্ট বোর্ডের পরীক্ষা শাখায় (উচ্চ মাধ্যমিক) জমা দেবে।
এদিকে, ঢাকা বোর্ড থেকে দেয়া নির্দেশনায় এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞানের রচনামূলক অংশে ৩২ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীদের রচনামূলক ২০ এবং এমসিকিউ অংশে ১২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে ।
বিজ্ঞান বিভাগের রচনামূলক অংশে ৮টি প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্য থেকে শিক্ষার্থীরা যেকোনো দুটির উত্তর দেবে। নম্বর থাকবে ১০ করে ২০ এবং নৈর্ব্যত্তিক অংশে ২৫টি প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে ১২টির উত্তর দিতে হবে। এখানে নম্বর থাকবে ১২।
এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মোট ৩২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। আর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২০ নম্বরকে ৫০ এবং নৈর্ব্যত্তিকের ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড আরও জানায়, এসএসসির মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রে ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এরমধ্যে রচনামূলকে ৩০ নম্বর, নৈর্ব্যত্তিক বা এমসিকিউতে ১৫ নম্বর। রচনামূলক অংশে ১১টি প্রশ্ন থাকবে। উত্তর দিতে হবে যেকোনো ৩টির। প্রতি প্রশ্নে ১০ নম্বর থাকবে। নৈর্ব্যত্তিকে থাকবে ৩০টি প্রশ্ন। উত্তর দিতে হবে ১৫টির। প্রতি প্রশ্নের উত্তরের জন্য মান থাকবে ১ নম্বর করে মোট ১৫।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৩০ নম্বরকে ৭০ এবং নৈর্ব্যত্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে মোট নম্বর নির্ধারণ করা হবে। প্রতিটি বিষয়ের (রচনামূলক ও এমসিকিউ) পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এর মধ্যে রচনামূলক ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট এবং এমসিকিউ ১৫ মিনিট।
বিজ্ঞান ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকে ২০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে,এমসিকিউর ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে। আর ভূগোল বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকের ২০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে এবং এমসিকিউর ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকের ৩০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে এবং এমসিকিউর ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
লঘু সঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকের মোট ২০ নম্বরকে ৪০ নম্বরে রূপান্তর করে ওই বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি