বিএনএ,চট্টগ্রাম: সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন মহানগর তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
মামলায় বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ১৫০ জনকে। আদালত মামলা আমলে নিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পিবিআইকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামীদের মধ্যে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ভাই খালেদ মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মোনাফ চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সামশুল আলম তালুকদার।
এদিকে মামলার এজহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর আকবরশাহ থানার বেলতলী ঘোনা এলাকায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে গিয়ে শত শত ঘরবাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট করে এবং হাজার হাজার মানুষকে বাড়িঘর থেকে বের করে এলাকা ত্যাগে বাধ্য করেন। পরে স্থানীয় সাবেক চসিক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম তার প্রভাব খাটিয়ে সেসব প্লট এবং বাড়িঘর বিক্রি করে এবং অন্যান্য আসামিরা তা ভোগ করে। পরে একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আসামিরা বাদীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারার কারণে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রসহ বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের আটকে রাখে। বাদীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৭টি দোকান এবং ১৩টি ঘর ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল ৭ সেট খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে দখল করে।
মামলার বাদীর আইনজীবী জিয়াউল হক জিয়া বলেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি তদন্ত করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্টো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএনএনিউজ/নাবিদ/এইচমুন্নী