বিএনএ ঢাকা: এক বছর পাঁচ মাস ২৪ দিন বন্ধের পর খুলতে রোববার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে যাচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সেইসঙ্গে দীর্ঘ অপেক্ষার সমাপ্তি হবে।
অনেকদিন পর শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসবে, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদেরকে রীতিমতো বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতি। স্কুলের ক্লাসরুম, বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল করা হয়েছে পাঠদানের উপযোগী। প্রাথমিক স্কুলগুলোয় রংতুলি দিয়ে আঁকা হচ্ছে শিশুদের শিক্ষণীয় বিভিন্ন ছবি ও লেখা।
স্কুল-কলেজের প্রবেশদ্বারে স্থাপন করা হয়েছে হাত ধোয়ার বেসিন। রাখা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষার নানান উপাদান। তাছাড়া ডেঙ্গু রোগের যেন বিস্তার না ঘটে সেজন্যও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মাপা হবে শরীরের তাপমাত্রাও। মাঠের ঘাস কেটে করা হচ্ছে খেলার উপযোগী। ক্লাসের প্রথম দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের বরণের আয়োজনও থাকবে।
এদিকে, স্কুলে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরাও প্রস্তুত।যে সব শিক্ষার্থী প্রথমবার স্কুলে যাবে অথবা দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজে যেতে পারেনি, উচ্ছাস নিয়ে অপেক্ষায় তারা। অভিভাবকরাও স্বস্তিতে। সবার মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছে স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি। প্রস্তুতিতেও গুরুত্ব পেয়েছে তা।
তবে, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, সব দিন শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হবে না। শুধু পিইসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা দৈনিক ক্লাস করবে। বাকিদের একদিন সরাসরি পাঠদান হবে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো অনলাইনে ক্লাস হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানায়, শ্রেণিকক্ষে তিন ফুট দূরত্ব রেখে শিক্ষার্থীদের বসানো হবে। নতুন ক্লাস রুটিনে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার চারটি করে ক্লাস নেয়া হবে। ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শনিবার ও রোববার চারটি ক্লাস হবে। এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস সোমবার, সপ্তম শ্রেণির মঙ্গলবার, অষ্টম শ্রেণির বুধবার ও নবম শ্রেণির ক্লাস বৃহস্পতিবার নেয়া হবে।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট পোশাক পরার ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড় বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজ। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে কিছু দিনের জন্য ইউনিফর্ম এর ক্ষেত্রে শিথিলতা আরোপ করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা চাইলেই যেমন খুশি পোশাক পরে আসতে পারবে না। পোশাকের ক্ষেত্রে শিথিলতা আরোপ করায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন অভিভাবকরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে বিভিন্ন দফায় ছুটি বাড়িয়ে এ পর্যন্ত বন্ধ ছিল দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
বিএনএনিউজ/আরকেসি