স্পোর্টস ডেস্ক: অলিম্পিক নারী ফুটবলের ফাইনালে ফের ব্যর্থ ব্রাজিল, শেষ হাসি হেসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১-০ গোলে হেরে রুপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেলেসাওদের। ১৯৯৬ সালে মেয়েদের ফুটবল এই ক্রীড়া মহাযজ্ঞে অন্তর্ভুক্তির পর চারবারই শিরোপা জিতেছে মার্কিন মেয়েরা। অন্যদিকে তিনবার অলিম্পিকের ফাইনালে উঠে তিনবারই রুপা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হলো ব্রাজিলকে।
এর মধ্য দিয়ে ব্রাজিলের কিংবদন্তি মার্তার শেষ বড় আসরটিও শেষ হলো হতাশায়। ২০০৪, ২০০৮ সালের পর এবার- তিনবারই ব্রাজিল দলে ছিলেন মার্তা। ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা নারী ফুটবলার, ব্রাজিলের সফলতম স্কোরার বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরাদের একজন এই মহাতারকার ক্যারিয়ার শেষ হচ্ছে বড় কোনো দলীয় সাফল্য ছাড়াই।
রেকর্ড টানা পাঁচবারসহ মোট ছয়বার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার রেকর্ড তার। ছেলে-মেয়ে মিলিয়েই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে জিতেছেন গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট। ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করা প্রথম ফুটবলার তিনি। পাঁচটি অলিম্পিকে গোল করার অনন্য কীর্তিও তার। অবিশ্বাস্যভাবে এবার ষষ্ঠ অলিম্পিক খেললেন এই ৩৮ বছর বয়সে। শেষ বেলায় এসে অপূর্ণতা ঘোচানোর আরেকটি সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না।
এখনও আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাননি তিনি। তবে জানিয়ে দিয়েছেন, এই বছরই শেষ। তাই বড় কোনো আসরও তাই শেষ এই অলিম্পিক দিয়েই। ব্যক্তিগত সাফল্য আর রেকর্ডে টইটম্বুর তার ক্যারিয়ার। কিন্তু দলীয় অর্জনে প্রাপ্তি একবার বিশ্বকাপে রানার্স আপ আর অলিম্পিকে তিনটি রুপা।
বিদায়বেলায় মার্তা বলেন, ‘যখন ২০০৪, ২০০৮ সালে রৌপ্যপদক পাই, আমি এখনকার মতো এতটা গর্ববোধ করিনি। কারণ আরও একটি অলিম্পিক ফাইনালে খেলতে ১৬ বছরের অপেক্ষা করতে হয়েছে, যা ব্রাজিলের কেউ বিশ্বাসও করেনি। এই পদক সেই গর্ব ফিরিয়ে এনেছে। দেখিয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জানে, প্রতিভা আছে এবং তার যথাযথ মূল্যায়ন দরকার।’
ছয়বারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় মার্তা নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, আপনারা আমাকে আবারও বিশ্বকাপে দেখতে পাবেন। আমি জানি না কী হবে, কিংবা জাতীয় দলের পরিকল্পনা কী। কিন্তু আমার পরিকল্পনা হচ্ছে, যেকোনোভাবে দলকে সাহায্য করে যাওয়া। কারণ, এটাই আমার জীবন।’
খেলোয়াড় হিসেবে না থাকলেও ২০২৭ সালে ব্রাজিলে হতে যাওয়া নারী বিশ্বকাপে ভিন্ন ভূমিকায় থাকার কথা জানালেন মার্তা। তিনি বলেন, ‘আমি ফুটবল থেকে হারিয়ে যাব না। আমি চেষ্টা করব, কোনোভাবে দলকে সাহায্য করতে।’
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ