।।মিজানুর রহমান মজুমদার।।
ঈদুল আজহার আনন্দে শরিক হতে নাড়ির টানে মানুষ ফিরছে গ্রামে। আনন্দের এ মুহূর্তে বাগড়া দিয়েছে ডেঙ্গু নামের এক ঘাতক রোগ। এডিস মশা এর বাহক। ডেঙ্গু ভাইরাস বহনে সক্ষম এডিস মশার আক্রমণে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ১৮ জন। আতঙ্কে রয়েছে পুরো দেশ। এ মুহূর্তে প্রয়োজন জনসচেতনতা। বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি, টায়ার টিউবে, এসির জমে থাকা পানি এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযুক্ত স্থান। ডেঙ্গু ভাইরাস আমাদের চারপাশে রয়েছে। এ ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে বাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। ফলে দেখা দেয় নানা উপসর্গ। অন্য কোন মশা ডেঙ্গু বহন করে না। তাই অন্যান্য মশা কামড়ালেও আমাদের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাসের ঝুকিঁ নেই। তাই এডিস মশা প্রজননের স্থান ধ্বংস করতে হবে। না হলে ডেঙ্গু সংক্রমণ বন্ধ করা যাবে না। এডিস মশা স্থির ও পরিস্কার পানিতে যে লার্ভা নির্গত করে থাকে তার থেকে শয়ে শয়ে এডিস মশার উৎপত্তি। এ মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
আমাদের করণীয়
ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিরা ভ্রমণ না করে চিকিৎসার মধ্যে থাকলেই ভালো। আতংকিত না হয়ে প্রতিরোধের চেষ্টাই সবচেয়ে উত্তম । বর্তমান সরকার সাধ্যমতো ডেঙ্গু মোকাবেলায় কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জনগণের উচিত সরকারকে সহযোগিতা করা।জ্বরে আক্রান্ত হওয়া মাত্র নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করা।
কুরবানির পশু
এবারের কুরবানিতে গৃহপালিত গবাদি পশুর আমদানি আশাব্যঞ্জক বলে ধারনা করা হচ্ছে। বানভাসা পশুও বাজারে আসছে। এবারের বন্যায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা অনেক। এদের অসহায়ত্বের সুযোগ যেন আমরা না নেই। তাদের কোন গবাদি পশু যদি বিক্রি করতে বাজারে আসে আমরা যেন তাদের উপযুক্ত মূল্য প্রদান করি। তাদের যেন প্রাপ্য থেকে আমরা বঞ্চিত না করি। এ অর্থ হয়তো তাকে বিপদ থেকে সাময়িক ভাবে হলেও রক্ষা করতে পারে।