বিএনএ,ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আগামী ঈদুল আজহার সময়ও বিধিনিষেধ বহাল থাকতে পারে। তবে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়লেও কোরবানির পশু কেনাবেচা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের জন্য কিছুটা শিথিল করা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
রোববার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আগামীকাল (সোমবার) রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১৪ দিনের সুফল আমাদের ধরে রাখতে হবে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, যে পরিমাণ রোগী বাড়ছে তাতে বিধিনিষেধ এ মুহূর্তে তুলে নেয়া হয়তো সম্ভব হবে না। তবে সেটা আগামী দুইদিনের পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাবে।
তিনি বলেন, ঈদ ও কোরবানির পশুরহাট একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এটা সুনিয়ন্ত্রিতভাবে মোকাবিলা করতে চায় সরকার। ডিজিটাল পশুরহাটের পাশাপাশি সারা দেশে স্বাভাবিক হাটও বসবে। করোনার কারণে বাউন্ডারিযুক্ত খোলা মাঠে পশুরহাট বসানোর চিন্তাভাবনা চলছে। ১৫ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এই ৬ দিন হাট বসবে। হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে আসতে হবে। হাটের ৩টি পথ থাকবে। এর একটি দিয়ে পশুসহ প্রবেশ করবে। একটি দিয়ে ক্রেতা প্রবেশ করবে এবং অপরটি দিয়ে ক্রেতা বের হয়ে যাবে। মৃত্যু ও সংক্রমণ মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে। হাটের সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞ কমিটি যেভাবে সুপারিশ করবে সেভাবেই সরকার ব্যবস্থা নেবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের ছুটিতে কেউ যাতে কর্মস্থল ত্যাগ না করেন সেই নির্দেশনা দেয়া হবে। ঈদের মধ্যে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকবে। কারণ গত ঈদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। মানুষ বাড়ি যাওয়ায় গ্রামে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রাম এখন আর নিরাপদ নয়।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গণপরিবহন ও শপিংমল বন্ধ রাখা হয়েছে। মানুষের চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
বিএনএনিউজ/মনির