বিএনএ, ডেস্ক : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ৭ জুন শনিবার সারাদেশে উদযাপিত হলো মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজ আদায়ের পর যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কুরবানি করেছেন। পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের দেশে ‘কুরবানির ঈদ নামে বেশি পরিচিত। কুরবানির পশু কেনা, তার যত্ন ও পরিচর্যাকে ঘিরে থাকে এ ঈদের আনন্দ।

এ বছর ঈদুল আজহায় দেশজুড়ে প্রায় ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৬৪ পশু কুরবানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। গত বছর দেশে ঈদুল আজহায় মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ পশু কুরবানি হয়। সে হিসাবে এ বছর প্রায় পৌনে ১৩ লাখ পশু কম কুরবানি হয়েছে।
এবার কুরবানির পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, এ বছর কুরবানির পশু উৎপাদন বেশি ছিল। সব চেয়ে কম পশু কুরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে আর সবচেয়ে বেশি রাজশাহীতে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০২৫ সালে ঈদুল আজহায় দেশে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কুরবানি হয়েছে। যার মধ্যে গরু ও মহিষ ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি, ছাগল ও ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি, অন্যান্য পশু ৯৬০টি।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১টি এবং ঢাকা বিভাগে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি পশু কুরবানি হয়েছে।
এ ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি, খুলনা বিভাগে ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৭৮৩টি এবং রংপুর বিভাগে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি পশু কুরবানি হয়।
অধিদপ্তর বলছে, স্তরায়িত দৈব নমুনায়নের (স্ট্র্যাটিফায়েড র্যান্ডম স্যাম্পলিং) ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে এবারের হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার ৩টি গ্রাম (ছোট, মাঝারি এবং বড়) থেকে অন্তত এক শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করে হিসাবটি করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তন পশু কুরবানি কম হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। এর আগে একটি পশুর হাট পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, ”আগে দুর্নীতির টাকা ভরা ছিল পকেট, এখন তো দুর্নীতির টাকা নেই তাই বড় গরু কিনতে পারছে না।”
যদিও দুর্নীতি বা কালো টাকার পাশাপাশি অধিক মূল্যস্ফীতিসহ দেশের বর্তমান অর্থনীতির পরিস্থিতিকেও কারণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
শামীমা চৌধুরী শাম্মী