21 C
আবহাওয়া
৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সাবেক এমপি দিদারের নোটিশের জবাব বীর মুক্তিযোদ্ধার

সাবেক এমপি দিদারের নোটিশের জবাব বীর মুক্তিযোদ্ধার


বিএনএ ডেস্ক : সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উচ্ছেদসহ ভাড়াটিয়া ও পরিবারের সদস্যদের শারীরিক আঘাত, নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের মালামাল ক্ষতিসাধন এবং উচ্চ আদালতের আদেশের পিটিশনের উপর সিল মারাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে  চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-পাহাড়তলী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে দুই পক্ষের মধ্যে  আইনী নোটিশ – পাল্টা নোটিশ দেয়া নেয়া চলছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার(১১ জুন) দিদারুল আলমের প্রেরিত (পক্ষে – এডভোকেট আল আমিন খান) ১৯ মে’র  লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন। তাঁর পক্ষে কুশলী ছিলেন  অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

তিনি নোটিশের প্রতি উত্তরে জানান,আমার মক্কেলকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে অপমানিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ভয়ভীতিসহ প্রভাব বিস্তার করে মানসিকভাবে দমিয়ে রাখার বৃথা চেষ্টা করেছেন। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান ও মানহানি তথা সমগ্র মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছেন যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। সাইবার ক্রাইম আইন ২৩ ও ২১ ধারা মতে, মুক্তিযোদ্ধা সর্ম্পকে কোন মন্তব্য করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি অর্থদণ্ড আইন প্রণয়ন করে তিনি নিজেই একজন সংসদ সদস্য হিসাবে আইন ভঙ্গ করেছেন।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার ১০ নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেনের বাড়ির প্রয়াত অছি মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ দিদারুল আলম একই এলাকার মোস্তফা হাকিম ভবনের বাসিন্দা।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ মে  বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেনের পক্ষে নোটিশ পাঠান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

সেই লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, হাটহাজারী সহকারী জজ আদালত চট্টগ্রাম অপরজারি ১/১৩ মূলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে দখলপ্রাপ্ত সম্পত্তি গত ২০১৭ সালের শেষের দিকে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ শুরু করলে সাবেক সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে ও ইন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে তার ভাড়াটিয়া ও পরিবারের সদস্যদের শারীরিক আঘাত করে বিপুল পরিমাণ পাইলিংয়ের মালামাল ক্ষতিসাধণ করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।

একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মো. জাকির হোসেনকে এবং তাঁর ছেলেকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উচ্ছেদ করায় মানসিক যন্ত্রনায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছে এবং আমি মুক্তিযোদ্ধা কিনা সন্দেহ প্রকাশ করে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার বিষয়টি উল্লেখ করে পাইলিং কাজের সরঞ্জাম ক্ষতি, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ভাড়াবাসায় বসবাস করা প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলমকে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। অন্যথায় আদালত অবমাননাসহ ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য উপযুক্ত আদালতে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি প্রদান করা হয়।

নোটিশ ইস্যুর পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কেউ শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁর জন্য সাবেক সংসদ সদস্য দায়ি থাকবেন বলে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধাকে কটাক্ষসহ সংবিধান লঙ্ঘন, সরকারকে সাবোটাজ করায় হাইকোর্ট থেকে সিভিল রিভিশন ২২০৯/২০২১ মূলে বিনা বাঁধায় বহুতল ভবনের কাজ করার আদেশ পেলেও অভিযুক্ত সাবেক সংসদ সদস্য তাঁর পক্ষগণদের দিয়ে থানায় লিখিত দরখাস্ত আনয়ন করে। ওই মুক্তিযোদ্ধা ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং থানায় আইনি সহায়তার জন্য গেলে থানা অপারগতা ও অসহায়ত্ব প্রকাশ করে এবং সাবেক সংসদ সদস্য জড়িত থাকার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আইনজীবির মারফত খোঁজ নিয়া সাবেক সংসদ সদস্যকে সদয় বিবেচনার জন্য জোর সুপারিশসহ পক্ষগণের একখানা দরখাস্ত গোচরীভুত হয়।

বিএনএনিউজ২৪ডটকম/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ