বিএনএ ডেস্ক: রাত পোহালেই খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে প্রচার ও গণসংযোগ। এখন কেবল ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। সোমবার সকাল ৮টা থেকে এই দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
দুটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। পুরো নির্বাচন ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। দুই সিটিতেই ভোটের আগের ও পরের দিন বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
খুলনায় ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এই সিটিতে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশালে ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এ সিটিতে সাতজন মেয়র প্রার্থী, ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নগরী দুটিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
ঢাকা থেকে খুলনার ভোট পর্যবেক্ষণ
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা ঢাকা থেকে পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি ও কেন্দ্রের সুবিধাজনক স্থানে দুটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। মোট ২ হাজার ৩১০টি সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে সবগুলো ভোটকেন্দ্র।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। কোনো প্রকারের সংঘাত সৃষ্টি হলে তা ক্যামেরায় রেকর্ড তো থাকবে, যা দেখে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। কোনো কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভোট বন্ধ করে দেয়ার বিধান রয়েছে।’
বিএনএনিউজ২৪/ বি রহমান, হাসনা, এমএইচ