20.7 C
আবহাওয়া
৬:২৪ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রোজাকে কেন্দ্র করে খাতুনগঞ্জে ইচ্ছেমত পণ্য বিক্রি

রোজাকে কেন্দ্র করে খাতুনগঞ্জে ইচ্ছেমত পণ্য বিক্রি


বিএনএ, চট্টগ্রাম: দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর তথ্য পেয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সিন্ডিকেটটি এক কেজি এলাচে ১ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। রমজান সামনে রেখে বাজারে ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত অভিযান পরিচালনা করে বেশি দামে এলাচ বিক্রির তথ্য উদঘাটন করেন। এরপর নানা অনিয়মের অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দেখা যাচ্ছে, খাতুনগঞ্জের এলাচের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ বি ট্রেডার্স। দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি করছিল এলাচ! তাছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে চট্টড়গ্রামের অন্যতম বড় পাইকারি চিনি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান আর এম এন্টারপ্রাইজ আর নাবিল গ্রুপ দুটোর একটিতেও নেই ক্রয়-বিক্রয় রশিদ। ইচ্ছে মতো দামে চলছিল চিনির বেচাকেনা।

এদিকে রোববার (১০ মার্চ) দেশের বৃহত্তম এই পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের ভ্রাম্যমান আদালতে এ বি ট্রেডার্সকে অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রির দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আর এম এন্টার প্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা এবং নাবিল গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, কয়েকদিন আগে এস আলম সুগার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পরে খুচরা বাজারে চিনির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। আসন্ন রমজানে যেন চিনির পাইকারি ও খুচরা বাজার দুটোই স্থিতিশীল থাকে সে উদ্দেশ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। চিনি বিক্রয়কারী দু’টি প্রতিষ্ঠান আর এম এন্টার প্রাইজ এবং নাবিল গ্রুপ কারো কাছেই কোন ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষিত ছিল না। ফলে তারা কত টাকায় কিনছেন বা বিক্রি করছেন তা আমাদের জানাতে পারেনি । এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এ সুযোগে বাজারে চিনির দাম বাড়িয়ে ফেলেছে। এজন্য সতর্কতামূলক ভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বি ট্রেডার্সের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাদের প্রতি কেজি এলাচ আমদানি করতে ট্যাক্স ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১ হাজার ৪৫০ টাকা পড়েছে। কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ লাভ করলে দাম ১৬০০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। তবে ওই প্রতিষ্ঠানে এলাচ বিক্রি হচ্ছিল ২২০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। দ্বিগুণ দামে এলাচ বিক্রির ‘অপরাধে’ প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে এই প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে শ্রেণি অনুযায়ী, ১৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার বেশি দামে তিনি এলাচ বিক্রি করবেন না।

এর আগে গত ৪ মার্চ আমদানি দামের চেয়ে দ্বিগুণ দামে এলাচ বিক্রির অপরাধে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বৃহত্তম আমদানি কারক মেসার্স আবু মোহাম্মদ অ্যান্ড কোম্পানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

বিএনএ/নাবিদ, এমএফ/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ