বিএনএ, সাভার: বিএনপির কর্মসূচি কভার করতে যাওয়ায় কাদের মোল্লা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া গ্রামে যুগান্তরের সাংবাদিক শামীম খানকে পুলিশের সামনে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও তার অনুসারীরা। এসময় সাথে থাকা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, কর্মরত পত্রিকার আইডি কার্ড (সাংবাদিক পরিচয় পত্র) সহ নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়। এ ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় ওই সাংবাদিককে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার সময় উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার পরও কাদের মোল্লার এই পেটুয়া বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশেষ সূত্র।
আহত সাংবাদিক শামীম খান ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কামার পাড়া গ্রামের মৃত জহির রায়হান খানের ছেলে। বর্তমানে সে ধামরাই পৌরসভার মডেল টাউন এলাকায় থকে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় কর্মরত আছেন।
জানা যায়, কাদের মোল্লা চেয়ারম্যানের ভাতিজা বক্কর ২০২২ সালে এক কিশোর-কিশোরীকে আটকে চাঁদাবাজি করার ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক হয়ে ৬ মাস কারাগারে ছিল। বর্তমানে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের একাধিক জায়গায় সে অবৈধভাবে মাটির লিক পরিচালনা করছে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে তার একটি লিকে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালায় ও ভেকুসহ জিনিসপত্র জব্দ করে।
ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিকের ছেলে ইমরান বলেন, গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা এক মহিলা মেম্বার প্রার্থীকে ধর্ষণ করেছিল। সেই নিউজসহ দূর্গা পুজার অনুষ্ঠানে ধর্ষিতা ওই নারী চেয়ারম্যানকে জুতা পেটা করে এমন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। এছাড়াও কাদের মোল্লা চেয়ারম্যানের একাধিক দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যার ফলে আজ আমার আব্বুকে ওই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চেয়ারম্যানের ভাতিজা সহ ১০-১২জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকের ছেলে আরও জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা এটা খুবই দুঃখজনক। এসময় কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ আলামিন হাওলাদার সহ একাধিক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে এই ঘটনাটি উপস্থিত থেকে উপভোগ করেন। কিন্তু তারা সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার সময় কোন হেল্প করেনি।
এ বিষয়ে জানতে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আতিকুর রহমানকে একাধিক বার তার মুঠোফোনে কল করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি।
বিএনএ/ইমরান, এমএফ