বিএনএ: চীনের স্পাই বেলুন কাণ্ডে দেশটির বিরুদ্ধে এবার নিষেধাজ্ঞা খড়গ জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ চীনের ছয়টি কোম্পানির বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। এসব কোম্পানি দেশটির সামরিক আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে বলে অভিযোগ করেছে ওয়াশিংটন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, বেইজিংয়ের সামরিক আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টাকে জোরদার করার ক্ষেত্রে-বিশেষ করে এয়ারশিপ ও বেলুনসহ মহাকাশ কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত ছয়টি চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে উত্তর আমেরিকার উপর দিয়ে উড়ে আসা সন্দেহভাজন গুপ্তচর বেলুনের বিষয়ে চীনের তীব্র নিন্দা করেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তার আগে শনিবার মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনা বেলুনটি গুলি করে ধ্বংস করে। বেলুনটি আলাস্কা থেকে দক্ষিণ ক্যারোলিনা পর্যন্ত দিনব্যাপী উড়ার পর সেটি ধ্বংস করা হয়। এতে তীব্র আপত্তি জানায় বেইজিং।
খবরে বলা হয়েছে, কালো তালিকায় যুক্ত করা চীনা কোম্পানিগুলো সরকারি অনুমোদন ছাড়া মার্কিন সরঞ্জামাদি ও প্রযুক্তিপণ্য সংগ্রহ করতে পারবে না।
শুক্রবারের বিবৃতিতে মার্কিন শিল্প ও নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালান এস্তেভেজ বলেন, উঁচুতে উড়তে সক্ষম বেলুন ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে পিপলস রিপাবলিক অব চায়না।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করতে চায়- এমন কোনো সংস্থা বা কোম্পানিকে মার্কিন প্রযুক্তি প্রাপ্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- বেইজিং নানজিয়াং এরোস্পেস টেকনোলজি কোম্পানি, চায়না ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশন, ৪৮তম গবেষণা ইনস্টিটিউট, ডংগুয়ান লিংকং রিমোট সেন্সিং টেকনোলজি কোম্পানি, ঈগলস মেন এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ কোম্পানি, গুয়াংজু তিয়ান-হাই-জিয়াং এভিয়েশন টেকনোলজি কোম্পানি, শানঝি ঈগলস মেন এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ।
ওয়াশিংটনের অভিযোগ, চীনের সামরিক বাহিনী হাই অল্টিটিউড (উচ্চ-উচ্চতার) বেলুন ব্যবহার করে গোয়েন্দা তথ্য এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থের পরিপন্থী।
তবে চীন এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জোর দিয়ে বলেছে, প্রধানত আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার উদ্দেশ্যে বেলুন ছাড়া হয়েছে।
বিএনএনিউজ/এ আর