বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীর পল্লবী থানাসহ বিভিন্ন থানার মামলার সাজা মাথায় নিয়ে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মবেশ ধারণ করে চলছিলেন প্রতারক ডলি আক্তার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে পুলিশের জালে আটকা পড়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে পল্লবী থানার একটি চৌকস টিম প্রতারক ডলিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তার বিরুদ্ধে পল্লবী থানাসহ বিভিন্ন থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পল্লবী থানায় ১৩টি মামলায় তার সাজা হয়েছে। সেগুলোতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
জানা গেছে, পরিচিত মানুষের সঙ্গে ভুয়া চেকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতেন ডলি। এরপর ওই টাকা দিয়ে আয়েশি জীবনে-যাপন করতেন। প্রতারণার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ নিয়ে তিনি কয়েক দফা গা ঢাকা দেন। ছদ্মবেশে বিভিন্ন জায়গায় বাসাও ভাড়া নিতেন তিনি। কয়েকজন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। বেশিরভাগ মামলায় ডলির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আর এসব মামলার বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজিব খান বলেন, তাকে গ্রেফতারে জন্য অভিযানে নেমে জানতে পারি প্রতারক ডলি নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্ন সময় ছদ্মবেশ ধারণ করেন। তিনি এ পর্যন্ত ১১টি পরিচয়ে ১১টি বাসা ভাড়া নেন। আমরা তার ব্যবহৃত কয়েকটি মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি। এরপর তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের এ ব্লক থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
তিনি আরও বলেন, প্রতারক ডলির বিরুদ্ধে শুধু পল্লবী থানায় ১৩টি সাজা এবং ওয়ারেন্ট (গ্রেফতারি পরোয়ানা) রয়েছে। অন্য থানায়ও মামলা রয়েছে। আর এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ মামলাই প্রতারণার।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, এসআই সজিব খান গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতারক ডলি আক্তারকে গ্রেফতার করেছেন। ডলির বিরুদ্ধে পল্লবীসহ বিভিন্ন থানায় মামলার সাজা এবং ওয়ারেন্ট রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিএনএ/ ওজি
