বিএনএ, ঢাকা : নিজ ব্যবস্থায় পানি নিঃসরণ করতে হবে, নাহলে কারখানা বন্ধ করে দেন। বহুকাল ধরে এমন চলছে, আর না। নদীপাড়ের কারখানা মালিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ‘বাংলাদেশে নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে গেলে আতর মেখে যেতে হয়৷ এই শীতে নদীটা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কতখানি সম্ভব হবে, সেটা নিয়েও সংশয় রযেছে। নদীর ওপরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর ড্রেনগুলো বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন।বালু উত্তোলনের ফলে নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। নদীকে বাঁচাতে ও নাব্যতা কমাতে দূষণ কমাতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ পর্যায়ে ঢাকার মধ্যে মোট ২১টি খাল দখলমুক্ত করতে গঠিত কমিটি কাজ শুরু করেছে । প্রত্যেক জেলায় নদ-নদীকে দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় বাজেট দিতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে নদ-নদীর তালিকা পুনরায় প্রকাশ করা হবে ৷ এতে ভূমি মন্ত্রণালয়কেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বিএনএনিউজ/ আরএস/শাম্মী