সাভার (ঢাকা) : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মূল কাজ একটি শিশুকে সামাজিকীকরণ করা। সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি করা। সামাজিকীকরণে অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে। একটি শিশুকে লিখিত ভাষা, গাণিতিক ভাষায় দক্ষ করে গড়ে তোলা। সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো লিপি বা চিহ্ন। এই লিপি বা চিহ্ন আবিষ্কারের পর আমাদের অনেক কিছু পাল্টে দিয়েছে। লিখিত ভাষা জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সঞ্চারিত করেছে। একটি শিশুকে যদি সামাজিকীকরণ করতে না পারি, তাহলে ঐ শিশু ভবিষ্যতে কোনো কাজে আসবে না।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ আয়োজিত ‘বিশ্ব দর্শন দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে বিশেষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, উন্নত দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় একটা ইউনিভার্সাল সৃষ্টি হয়েছে। সকলে সে সিস্টেমকে ফলো করে। আমাদের দেশে প্রাথমিকের ধারা ১৪ টি ধারায় বিভক্ত। তাদেরকে একিভূত করা কঠিন কাজ। ঐক্য সৃষ্টি হচ্ছে না। প্রাথমিক শিক্ষায় একটি কারিকুলাম থাকা দরকার যা সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব যেন হারিয়ে না যায়।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো গ্রাফিতিগুলো। দেশের সকল প্রান্তেই গ্রাফিতিগুলো দেখা যায়। ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষাগুলো গ্রাফিতিগুলোর ভাষা। আকাঙ্ক্ষা পূরণে যথার্থ কি কিছু করছি!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মুনির হোসেন তালুকদার, অধ্যাপক রায়হান রাইন, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ উল্লাহ ও দর্শন বিভাগের ছাত্র সংসদের ভিপি রাসেল আকন। অধ্যাপক মাহফুজা আকনের সঞ্চালনায় ‘গণঅভ্যুত্থান- উত্তর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঈনুল আলম নিজার। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন