বিএনএ ডেস্ক: ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারদিক। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। উত্তরের জেলাগুলোতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। রোববার (১০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মাসেই এ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে জেঁকে বসতে পারে শীত। ঢাকায় পুরোদমে শীতের অনুভূতি পেতে অপেক্ষা করতে হতে পারে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। এমন আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আকাশ ক্রমে মেঘমুক্ত হচ্ছে। এতে এখন থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা কমবে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের ফলে যে জলীয় বাষ্প ও মেঘ সৃষ্টি হয়েছিল, তা পুরোপুরি কেটে গেছে। এখন ঠাণ্ডা আর কুয়াশা বাড়বে। রাজধানীতে এখনো সেই অর্থে পুরোদমে শীত শুরু না হলেও রাতের বেলা উত্তরের বাতাস শীতের অনুভূতি আগের চেয়ে কিছুটা জোরালো হয়েছে।’
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘ঢাকায় এমনিতেও শীত কিছুটা দেরিতে আসে। এবার এখানে পুরোদমে শীত শুরু হতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় লেগে যেতে পারে। তবে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে দু-এক দিনের মধ্যেই শীত জেঁকে বসতে পারে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই দেশের কোথাও কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে চলে আসবে। সামনের দিনগুলোতে রাতের তাপমাত্রা ক্রমে কমবে।’
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ দেশে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে, ৩০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে শুক্রবার রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ