20 C
আবহাওয়া
৯:৪৩ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » খাগড়াছড়িতে ঐতিহ্যবাহী রাজপুণ্যাহ শুরু

খাগড়াছড়িতে ঐতিহ্যবাহী রাজপুণ্যাহ শুরু

খাগড়াছড়িতে ঐতিহ্যবাহী রাজপুণ্যাহ শুরু

বিএনএ খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মং সার্কেলের রাজপুণ্যাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি সদরের মহালছড়ায় উপমহাদেশের সর্বকনিষ্ট রাজা সাচিং প্রু চৌধুরীর হাতে নজরানা ও রাজস্ব তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে রাজপুণ্যাহ’র মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হচ্ছে এবারের ‘রাজপূণ্যাহ’। এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

মং সার্কেল প্রধান রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরীকে মঞ্চে আনার পর তার প্রতি আনুগত্য স্বরূপ প্রজাদের পক্ষে তলোয়ার প্রদান করেন একজন হেডম্যান ও একজন কার্বারি।

এছাড়া, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি ও গুইমারা রিজিয়নের পক্ষ থেকে রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরীকে উপঢৌকন প্রদান করা হয়।

পাহাড়িদের ঐহিত্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের পর রাজপুণ্যাহর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মং সুইপ্রু চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি হেডম্যান কংজরী চৌধুরী ও কার্বারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রনিক ত্রিপুরা।

রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী তার সমাপনী বক্তব্যে ১৯০০ সালের হিলট্রাক্টস ম্যানুয়েল অধিকতর কার্যকর করা, পার্বত্য চুক্তির ধারাসমূহ বাস্তবায়ন করাসহ পাহাড়ের উন্নয়নে হেডম্যান-কার্বারিদের ক্ষমতাশালী করার দাবি জানান।

শনিবার দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে বার্ষিক রাজস্ব খাজনা আদায় ছাড়াও মং সার্কেল রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী মং সার্কেলের আওতাধীন মৌজার প্রধান হিসেবে হেডম্যান এবং সকল পাড়া প্রধান (কার্বারি)’র কাছ থেকে বিভিন্ন উপঢৌকন গ্রহণ করার কথা রয়েছে। তৃতীয় দিন (১২ ডিসেম্বর) নারী হেডম্যান ও নারী কার্বারিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হবে। এতে সংরক্ষিত মহিলা এমপি বাসন্তী চাকমা প্রধান অতিথি থাকবেন। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মং রানী উখ্যেংচিং মারমা।

রাজপূণ্যাহ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হিরণজয় ত্রিপুরা জানান, রাজপূণ্যাহ সাধারণত উৎসবমূখরভাবে করা হলেও এবার স্বাস্থ্যবিধি মানার স্বার্থে শুধু রাজপূণ্যাহ এর রুটিন কাজগুলোই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা তিন সার্কেলের আওতাধীন। রাঙ্গামাটি চাকমা সার্কেল, বান্দরবান বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়ি মং সার্কেল। মং সার্কেলের আওতাধীন ১২১ জন হেডম্যান (মৌজা প্রধান) এবং ৭শ জন কার্বারি (পাড়া প্রধান) রাজার কাছে জুম কর প্রদান করবেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় রাজা পাইহ্লা প্রু চৌধুরী নিহত হবার পর তার সন্তান সাচিং প্রু চৌধুরী রাজা হন।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ