বিএনএ, সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম) : জেলার সীতাকুণ্ডে অবস্থিত অর্ধশতাধিক শিপব্রেকিং ইয়ার্ড(জাহাজ ভাঙা ঘাট) কোনরকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই তান্ডবের অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের তিনটি দল একযোগে অভিযান চালিয়ে নথিপত্র ও কম্পিউটার জব্দ করে আগ্রাবাদের ভ্যাট কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নজিরবিহীন হেনস্তা ও তান্ডবের অভিযোগে সমস্ত শিপব্রেকিং ইয়ার্ড মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের একমাত্র জাহাজভাঙা ঘাট চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলে অবস্থিত। সেখানে কাগজেপত্রে ১৫০টির বেশি জাহাজভাঙা ঘাটের নাম থাকলেও কার্যত সচল আছে ৬০টির মত ঘাট। এ সব ঘাটে বিশ সহস্রাধিক শ্রমিক কর্মচারী কাজ করেন।
অভিজ্ঞমহল মনে করেন, শিপব্রেকিং ইয়ার্ডসমূহ বন্ধ থাকলে কিংবা সেখান থেকে লোহার সরবরাহ না থাকলে নির্মাণশিল্পের অন্যতম উপকরণ রডের দাম বৃদ্ধি পাবে আকস্মিকভাবে। ব্যয় বেড়ে যাবে সরকারি ও বেসরকারিখাতের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহে।
জাহাজভাঙা ঘাট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) সূত্র জানায়,ভাটিয়ারী স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, প্রিমিয়ার ট্রেড করপোরেশন, মাহিনুর শিপ-রিসাইক্লিং ইয়ার্ড এবং এসএন করপোরেশনে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশন কোনরকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই অভিযান চালায়। অভিযান শেষে ওই কারখানাগুলোর নথিপত্র ও কম্পিউটার জব্দ করে ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। অভিযানের সময়ে কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তারা নজিরবিহীন হেনস্তাও চালান বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।
বিএসবিআরএ সূত্র জানায়, জাহাজভাঙা কারখানাগুলো নির্ধারিত ভ্যাট অগ্রিম পরিশোধ করেন। এ কারণে তাদের পক্ষে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডের জাহাজভাঙার ঘাটগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) থেকে ঘাটগুলোতে জাহাজ কাটা, স্ক্র্যাপ সরবরাহসহ সব ধরনের কাজ বন্ধ থাকবে।
এদিকে চট্টগ্রামের কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযান চালানো ঘাটগুলো ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে— এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে অভিযান চালানো হয়। আর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখার জন্য নথি জব্দ করা হয়েছে।
বিএনএ নিউজ২৪,জিএন