বিএনএ, সাভার : ঢাকার ধামরাইয়ে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি গঠনে ধামরাইয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন।
জনমত যাচাইয়ে সভাপতি পদে এগিয়ে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন। ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী দুইটি গ্রুপ রয়েছে। একটি হচ্ছে বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমদ অন্যটি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক এর গ্রুপ।
ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগের বিভক্তি যেমন সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে ঠিক তেমনি আবার নেতাকর্মীদের সক্রিয়ভাবে মাঠে চাঙা করে রেখেছেন। এই দু’গ্রুপের মধ্যে সাবেক এমপির জনসমর্থন বেশি হওয়ায় যেকোনো মিটিং মিছিল বা সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ও লোকসমাগম বেশি হয় বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে এম এ মালেককেই পুনরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিআইপি আহম্মদ আল জামান, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক একজন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ। জনদরদী এই রাজনৈতিক নেতা দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টাই রাজনীতির পেছনে ব্যয় করেন। স্থানীয় জনগণ তাকে সবসময়েই কাছে পায়। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতাকেই পুনরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে পেতে চায়।
তিনি আরো বলেন একজন যোগ্যনেতা হিসেবে জনগণের সাথে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সম্পৃক্ততা। তিনি একজন ন্যায় বিচারক। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই সোচ্ছার ভুমিকা রেখে আসছেন। যে কারণে সারা ধামরাই জুড়ে এম এ মালেকের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এলাকাবাসী তাদের যেকোন ধরনের চাহিদার সময় এম এ মালেককেই কাছে পায়।
যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান মিজু বলেন, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক হচ্ছেন মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়, কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী তার মধ্যে বিদ্যমান। এলাকাবাসী তাদের নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায়। তাই তার প্রতি এলাকার সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরী হয়েছে। এ আস্থা থেকেই এলাকাবাসী তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পুনরায় এমপি হিসেবে পেতে চায়।
অপরদিকে ধামরাই সরকারী কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান খান হাবিব বলেন, স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের কাছে আওয়ামী লীগের আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নিজেকে টেনে নিয়ে এসেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ধামরাইয়ের সাবির্ক উন্নয়নও হচ্ছে তার হাত ধরেই। তাই দলীয় কর্মী-সমর্থকসহ এলাকাবাসীর একটাই চাওয়া আগামী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়।
বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি