বিএনএ, চট্টগ্রাম: টানা ভারি বৃষ্টি, পাহাড়ের পানি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়ন। চারদিন ধরে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এ উপজেলার লাখো মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগও কিছু এলাকায় বন্ধ রয়েছে। ডুবে যায় রাস্তাঘাট, দোকানপাট আর অসংখ্য বাড়িঘর। বানের পানির স্রোতে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এ উপজেলায় পানি কিছুটা কমলেও শুকনো খাবার আর সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ঘরে তিনদিন ধরে চুলা না জ্বলায় মানবেতর জীবনযাপন করছে পানিবন্দী স্থানীয় বাসিন্দারা।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার কেরানিহাটে এখনো হাঁটু পানি রয়েছে। বৃহস্পতিবার(১০ আগস্ট) অবশ্য এই মহাসড়কে ফের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার কেরানিহাটে অসংখ্য দোকানে বানের পানি ঢুকে ভোগ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নষ্ট হয়েছে। পণ্য নষ্ট ও দোকান খুলতে না পারায় সেখানে ভোগ্যপণ্যের জোগান তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকানপাট। সড়কে পানি থাকায় ঝুুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, কেউচিয়া, পুরানগড়সহ অধিকাংশ এলাকায় টানা বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবস্থা খুব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট।
পানিবন্দী এলাকাবাসীরা জানান, পানি না কমায় শুকনো খাবার আর বিশুদ্ধ পানির অভাবে দিনযাপন করছি। স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যায় ভয়াবহ আকার ধারণকরা এলাকাসমূহে শুকনো খাবার আর বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হচ্ছে। দুর্গতরা ত্রাণ তৎপরতা দ্রুত বৃদ্ধির দাবি জানান।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, সাতকানিয়া উপজেলায় ৪০ হাজার পরিবারের এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৬০ মেট্রিক টন চাল, নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৫শ প্যাকেট বিস্কুট, ৫শ পিস ওরস্যালাইন ও ৫শ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে।
বিএনএনিউজ/বিএম,জিএন/ হাসনাহেনা