বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি তাই পিং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিদেশী দেশ হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে তার উন্নত যুদ্ধ জাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে চলাচল করে উস্কানিমূলক আচরণ করেছে। তারা প্রকাশ্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে বিরক্ত করে, তা দক্ষিণ চীন সাগরের জন্য বড় হুমকি। দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করার কোনো যোগ্যতা এবং অধিকার নেই।
সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ক এক উন্মুক্ত সভায় মার্কিন প্রতিনিধির মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন চীনা প্রতিনিধি।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সভায় মার্কিন প্রতিনিধির দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায় বেইজিং। বর্তমানে চীন ও আসিয়ান দেশগুলোর যৌথ প্রয়াসে দক্ষিণ চীন সাগর পরিস্থিতি স্থিতিশীল এব সংশ্লিষ্ট দেশগুলো আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে স্বাধীন নৌ ও বিমান চলাচল অব্যাহত রেখেছে। চীন ও আসিয়ান দেশগুলো সার্বিক ও কার্যকরভাবে ‘দক্ষিণ চীন সাগরে বিভিন্ন পক্ষের কার্যক্রম’ মেনে চলবে, এবং এতদাঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আশাবাদী তারা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘জাতিসংঘের সমুদ্র আইন কনভেনশনে’ যোগ দেয়নি, কিন্তু তারা অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে। সামুদ্রিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আস্থাশীল নয়। নিরাপত্তা পরিষদের সভায় দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু নিয়ে তাদের কথা বলা পুরোপুরি রাজনৈতিক অপচেষ্টা।
চীনা প্রতিনিধি আরো বলেন, বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারী সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, আঞ্চলিক সংঘর্ষও দিন দিন গুরুতর হচ্ছে, এবং সমুদ্রে সশস্ত্র ডাকাতি, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং মানব পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ দেখা দিয়েছে। চীন বরাবরই সামুদ্রিক নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেয়। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে সহযোগিতা করে যৌথভাবে সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালায় বেইজিং।
বিএনএনিউজ/ এইচ.এম।