বাংলাদেশ সরকারের অনুদান প্রাপ্ত চলচ্চিত্র “গলুই”এর প্রদর্শনী বন্ধ করেছে জামালপুর জেলা প্রশাসন। সোমবার(৫মে) প্রদর্শনী বন্ধ করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছে ‘গলুই’। অবশ্য প্রশাসন বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
শিল্পকলা একাডেমীর অনুমতি নিয়েই চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনের আয়োজন করেছিল প্রযোজনা সংস্থা।
গলুই সরকারী অনুদানের সিনেমা। ভাল সিনেমা হিসাবে ইতিমধ্যে দর্শক মহলে দারুণ ভাবে সমাদৃত হয়েছে। যা এযাবৎ কালে অনুদানের কোন সিনেমা এমন ভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি।এর সহ-প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। চলচ্চিত্রটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন শাকিব খান ও পূজা চেরী। আরও অভিনয় করছেন আজিজুল হাকিম, সমু চৌধুরী, ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ।
যদি প্রযোজনা সংস্থা বা পরিচালক নিজে সরকারী অনুমতি নিয়ে শিল্পকলা একাডেমী তে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে থাকে তাহলে স্থানীয় প্রশাসন তা বন্ধ করবে কেন, তা নিয়ে চলচ্চিত্র মহল, দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা এস এ হক অলিক সাংবাদিকদের জানান, ‘যেহেতু জামালপুরে কোনও সিনেমা হল নেই, তাই আমরা সিনেমাটি প্রদর্শনের জন্য প্রথমে শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম বেছে নিয়েছিলাম। একাডেমির দায়িত্বে থাকা ও সেখানকার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়েই ছবিটি চালানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু চাঁদরাতে সেখানকার ডিসি সিনেমা প্রদর্শনীতে বাঁধা দেন। পরে আমরা শহরের মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে ছবিটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করি। এটা স্থানীয় অডিটোরিয়াম। এ বিষয়ে ডিসির সঙ্গেও কথা বলি। ছবিটি চালানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। ৫ তারিখে এসে তিনি পুনরায় ছবিটি বন্ধ করে দেন।’
এস এ হক অলিক আরও জানান, ‘১৯৫৮ সালের একটি আইন আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন ডিসি। সেই আইন বলেই শো বন্ধ করে দেওয়ার হুকুম দেন তিনি। কোনও উপায় না পেয়ে, গত দু’দিনে যারা অগ্রিম টিকিট কিনেছেন সেটা দর্শকদের ফিরিয়ে দিয়েছি।’
জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মুকলেছুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বন্ধও করতে বলিনি, চালুও করতে বলিনি। এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনাই তাদের দেওয়া হয়নি। স্থানীয় লোকজনের আগ্রহে একটা সময়ের জন্য সিনেমাটি শিল্পকলা একাডেমিতে চালানোর সুযোগ করে দিলেও সেই সময় শেষ হয়ে গেছে।’
রিপন রহমান খান,জিএন