বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালকে সরকার কোভিড ভ্যাকসিনের টিকাকেন্দ্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এতে বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও টিকা নিতে পারবেন।
রোববার (১১ এপ্রিল) বন্দর হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পরদিন সোমবার (১২ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন থেকে বন্দর হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক নাগরিকরা সুরক্ষা অ্যাপে বা সফটওয়ারে তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। টিকা প্রদান ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। এখন অপেক্ষা কেবল ভ্যাকসিন আসার। এসে পৌঁছলে রোববার ( ১১ এপ্রিল ) পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনেশন শুরু হবে। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম আরম্ভ হবে। সরকারি একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালের টিকা প্রদানের সুবিধাদি সরেজমিনে দেখে গেছেন।
তিনি জানান, ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহীর অনেকে ইতোমধ্যে নিবন্ধন করেছেন। কেবল বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারি নয়, সবার জন্য এখানে ভ্যাকসিনেশন উন্মুক্ত থাকবে। বন্দর হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণ সফটওয়্যারে তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। বন্দরের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের জন্য বন্দর হাসপাতালে ১১১ নম্বর কক্ষে রেজিস্ট্রেশন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার স্বার্থে ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে কর্মকর্তা,কর্মচারী ও পোষ্যদের টিকা দেয়ার সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন সেন্টার চালুর অনুরোধ জানিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পত্র দেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম শাহজাহান।
চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে। করোনা মোকাবেলায় হাসপাতালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও টিকাদানকারী সহ কোভিড টিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল ধরনের সুবিধাদি বন্দর হাসপাতালে বিদ্যমান।
বিএনএনিউজ/মনির