বিএনএ, বিশ্ব-ভারত : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা শনিবারের নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণের দিন সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় শীতলকুচিতে সংঘর্ষ বাধে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়।
বেলা গড়াতেই উত্তেজনা ছড়ায় জোরপাটকি এলাকায়। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এলোপাথারি গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরও চারজনের। নির্বাচন কমিশন জানায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাদের। নিহতরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সমর্থক বলে দাবি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
স্থানীয়রা জানান, বুথের সামনে কয়েকটি তরুণ দাঁড়িয়েছিল। তাদেরকে সরিয়ে দিতে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর এনিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বাহিনীর তর্কবেধে যায়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় ক্রমশ। এরপরই গুলি চালায় আধা সামরিক বাহিনী। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
তবে স্থানীয় বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক গোটা ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, মাথাভাঙা, শীতলকুচি, কোচবিহারের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরতে বলেন মমতা, তাতেই একটি বিশেষ শ্রেণির লোক উত্তেজিত এবং তা থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়েন। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি গুলি চালিয়ে থাকে, তা আত্মরক্ষার্থেই চালিয়েছে।
বিএনএনিউজ/জেবি