16 C
আবহাওয়া
৫:৫১ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সওদাগরের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী কাল

বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সওদাগরের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী কাল

বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সওদাগরের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী কাল

বিএনএ, চট্টগ্রাম : বৃহস্পতিবার ( ১১ মার্চ ) বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সওদাগর এর ৩১ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৩৮ সালে জন্মগ্রহণকারী এই  রাজনীতিবিদ ১৯৯০ সালে ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পক্ষে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী  গঠনে নেতৃত্ব প্রদান করার মাধ্যমে শহীদ জিয়ার ‘স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মান’ এর দর্শন এর সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিল। তিনি চট্টগ্রামে জাগদল তথা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন।

স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের পর চট্টগ্রাম বিএনপিকে সাংগঠনিক কাঠামোতে দাঁড় করাতে গিয়ে সিমাহীন জীবন ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি।পরিবার, ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু বিসর্জন দিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন নূর মোহাম্মদ সওদাগর। শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার কারণে স্বৈরাচার এরশাদ তাঁকে অসংখ্য মামলা দিয়ে বারংবার জেল খাটিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারি।

নূর মোহাম্মদ সওদাগর বৃহত্তর চট্টগ্রামব্যাপী শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত কালজয়ী তৃণমূল কর্মসূচি ‘খাল খনন’ উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ তাঁর জন্মস্থান বৃহত্তর বাকলিয়ার অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ শিক্ষা বিস্তারে যুকান্তকারী  অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। বরাবরই রাজনীতি সচেতন ছিলেন তিনি। ফলে রাষ্ট্র সৃষ্টির শুরুর দিকে  ৭০’ এর ঐতিহাসিক  নির্বাচনে  বঙ্গবন্ধুর পক্ষে  নৌকার প্রার্থী জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরীকে বিজয়ী করার জন্য ব্যাপক গণসংযোগে তিনি নিজেকে নিবেদন করেছিল।

পরবর্তী সময়ে ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় সংগঠক এর দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পাকিস্তানিদের পরাজিত করতে সহায়তা করেছিলেন। যুদ্ধে জোরালো ভূমিকা পালন করার কারণে তৎকালীন সময়ে তিনি বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। পাক হানাদার বাহিনী চট্টগ্রাম নগরীর কেসিদে রোডস্থ তার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া হোটেল ভবন পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল।

তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে মরহুমের কবর জেয়ারত, কুরআন খতম, মিলাদ-মাহফিল, ইয়াতিম ও দুস্থতের মাঝে খাদ্য বিতরণ।

বিএনএনিউজ/আমিন

Loading


শিরোনাম বিএনএ