বিএনএ, আদালত প্রতিবেদক : মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে চার বছরের কারাদন্ড প্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১০ মার্চ) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিলো।কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য,পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে মোট ৩৫৫ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা থাকায় মানি লন্ডারিং আইনে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর পল্টন থানায় মামলা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সেলিনা ইসলাম, মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির (পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী), জেসমিন প্রধান (পাপুলের শ্যালিকা), ওয়াফা ইসলাম (পাপুলের মেয়ে), কাজী বদরুল আলম লিটন (পাপুলের ভাই), গোলাম মোস্তফা (মানবপাচারে সংশ্লিষ্ট জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার)।
এছাড়া মামলায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। সেগুলো হলো- জে. ডব্লিউ লীলাবালী ও জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল। জে. ডব্লিউ লীলাবালীর প্রোপ্রাইটর পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর পাপুলের ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন।
সম্প্রতি মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক
পাপুল কে কুয়েতের আদালত চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।তার সংসদ সদস্য আসনটিও শূন্য ঘোষনা করা হয়েছে।
বিএনএ নিউজ/এসবি, জেবি