26 C
আবহাওয়া
৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জুমার দিন যে ৪ ভুল করা যাবে না

জুমার দিন যে ৪ ভুল করা যাবে না

জুমা

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমাবার। এই দিনে জুমা ছাড়াও অন্যান্য ইবাদতের বিনিময়ে বিপুল সওয়াব রয়েছে। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে একটি সুরাও রয়েছে। রাসুল (সা.)-এর অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। জুমার নামাজ প্রতিটি মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম জুমা আদায় করেন। কিন্তু অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক সময় জুমার ক্ষেত্রে কিছু ভুলত্রুটি হয়ে যায়। সে ধরনের চারটি ভুল নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা—

পরিচ্ছন্ন না হয়ে মসজিদে গমন
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। আর জুমায় যেতে পরিচ্ছন্ন হওয়া আবশ্যিক। সে ক্ষেত্রে গোসল করে নেওয়া উত্তম। আবু সাইদ খুদ্‌রি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন—

জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের জন্য গোসল করা ওয়াজিব। পাশাপাশি মিসওয়াক করা চাই এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করা উচিত। (বুখারি, হাদিস : ৮৮০)

তাই জুমার দিন সবার উচিত গোসল করা এবং মিসওয়াক করা। যদি সম্ভব হয় সুরভি লাগানো চাই। আর ভালো ও পরিচ্ছন্ন জামা পড়ে মসজিদে যাওয়া।

আজানের পর অন্য কাজে মগ্নতা
জুমার আজানের পর একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অন্য কাজ নিষিদ্ধ। তাড়াতাড়ি মসজিদে চলে যাওয়া জরুরি। আয়েশা (রা.) বলেন— ‘লোকজন নিজেদের কাজকর্ম নিজেরাই করতেন। যখন তারা দুপুরের পরে জুমার জন্য যেতেন, তখন সে অবস্থায়ই চলে যেতেন। তাই তাদের বলা হলো, যদি তোমরা গোসল করে নিতে ভালো হতো…।’ (বুখারি, হাদিস: ৯০৩; মুসলিম, হাদিস: ৮৪৭)

খুতবায় মনোযোগ না দেওয়া
খুতবা শোনা জুমার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই ঠিকভাবে খুতবা শোনাও জরুরি। তবে মুসল্লি বেশি হওয়ার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে খুতবার আওয়াজ না শোনা যায়, তাহলে নীরব থাকা-ই নিয়ম।

রাসুল (সা.) বলেন— যে ব্যক্তি উত্তমভাবে অজু করে জুমার নামাজে এলো, নীরবে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল, তাহলে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি (অহেতুক) কঙ্কর স্পর্শ করল, সে অনর্থক, বাতিল, ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য কাজ করল। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৭৩)

খুতবার সময় কথা বলা
জুমার খুতবা শোনা উপস্থিত মুসল্লিদের কর্তব্য। হাদিসে রাসুল (সা.) খুতবার সময় কথা বলতে নিষেধ করেছেন। আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, প্রিয়নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন ইমাম খুতবা দেওয়া অবস্থায় যদি তোমার পাশের মুসল্লিকে ‘চুপ থাকো’ বলো, তাহলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে।’ (বুখারি, হাদিস: ৯৩৪, মুসলিম, হাদিস: ৮৫১)

প্রসঙ্গত খুতবার সময় কেউ কথা বললে তাকে চুপ থাকতে বলাও উচিত নয়

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ