বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনাকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া ও বেলারুশ বৃহস্পতিবার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। খবর এএফপি’র।
ইউক্রেনে রুশ অভিযানের আশংকার মধ্যেই ১০ দিনের এই যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। এদিকে সম্ভাব্য ইউক্রেন আক্রমন ঠেকাতে ন্যাটো নেতৃবৃন্দ একটি জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্ট শুরু করেছেন।
বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনের সাথে তাদের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এ সামরিক মহড়া উপলক্ষে রাশিয়া বেলারুশের যে সৈন্য সমাবেশ করেছে তাকে স্নায়ুযুদ্ধের পর বৃহত্তম বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রাশিয়া তাদের ইউক্রেন-সংলগ্ন সীমান্তে এক লাখেরও বেশি সৈন্য সমাবেশ করার পর তারা যে কোন সময় ইউক্রেনে অভিযান চালাতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো আশংকা করছে। তবে রাশিয়া বার বার এরকম কোন পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে।
বেলারুশ ও রাশিয়ার এই যৌথ সামরিক মহড়াকে ফ্রান্স একটি ‘সহিংস ইঙ্গিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ মহড়াকে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে এমন একটি পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ আমাদের প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে একটা মানসিক চাপ। তবে রাশিয়া তা অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার বলেছেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপ এখন সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংকটের সম্মুখীন।
আশংকা করা হচ্ছে যে, রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালালে এই মহড়ার জন্য আসা রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অনেক কাছাকাছি থাকবে এবং তাদের জন্য শহরটির ওপর আক্রমণ চালানো সহজতর হবে।
মস্কো ও মিনস্ক কেউই তাদের ঠিক কত সৈন্য এ মহড়ায় যোগ দেবে তা প্রকাশ করেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, প্রায় ৩০,০০০ রুশ সৈন্য এতে অংশ নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন যে, একটি সর্বাত্মক অভিযান চালানোর জন্য যতটা দরকার তার ৭০% সামরিক শক্তি এর মধ্যেই সমাবেশ করে ফেলেছে রাশিয়া।
পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে রাশিয়া এই নিশ্চয়তা চাইছে যে, ইউক্রেনকে কখনো ন্যাটো সদস্য করা হবে না এবং পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক উপস্থিতি কমাতে হবে। তবে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন ন্যাটো এমন নিশ্চয়তা দিতে রাজি নয়।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে যোগ দেয় এবং আট বছর আগে রাশিয়ার দখল করে নেয়া ক্রাইমিয়া পুনর্দখল করার চেষ্টা করে তাহলে পুরো ইউরোপ একটা বড় আকারের সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।