ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) পর্যালোচনায় ২০২১ সালে গণতন্ত্রের সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
ইআইইউ এর সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্টে বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়। বিগত ২০২১ সালের সূচকে ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ চলতি বছর ৭৫তম স্থানে মিশ্র গণতন্ত্রের দেশের তালিকায় রয়েছে। ২০২০ সালে এই সূচকে একই স্কোর ছিল ৭৬তম স্থান। এর পূর্বের বছর ২০১৯ সালে ৫ দশমিক ৮৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮০তম।
পাঁচটি মানদণ্ড অনুসরণ করে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো হলো– নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বহুদলীয় ব্যবস্থা, ফাংশনিং অব গভর্নমেন্ট বা সরকার পরিচালনা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সিভিল লিবার্টিস বা নাগরিক অধিকার।
এই সূচকে ৯ দশমিক ৭৫ স্কোর নিয়ে গত বছরের মতো সবার ওপরে আছে নরওয়ে। নিউজিল্যান্ড আছে দ্বিতীয় স্থানে, স্কোর ৯ দশমিক ৩৭। ৯ দশমিক ২৭ স্কোর নিয়ে ফিনল্যান্ড আছে তৃতীয় স্থানে।
বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত রয়েছে ৪৬ নম্বরে, শ্রীলংকা ৬৭, ভুটান ৮১, নেপাল ১০১, পাকিস্তান ১০৪ নম্বরে।
মিয়ানমার ও আফগান পরিস্থিতির অবনতি
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান ও মিয়ানমার বিশ্বের গণতন্ত্রের র্যাঙ্কিংয়ে উত্তর কোরিয়ার নিচে নেমে গেছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের দখলদারিত্ব এবং মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলের ফলে দুই দেশের র্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য পতন ঘটে। ডেমোক্রেসি ইনডেক্স ২০২১ রিপোর্ট অনুসারে, এটি এক বছর আগের ৫.৬২ থেকে এশিয়া অঞ্চলের গড় স্কোর ৫.৪৬ (১০ এর মধ্যে) টেনে এনেছে।
আফগানিস্তানের স্কোর ২০২০ সালের ২.৮৫ থেকে গত বছরে ০.৩২-এ নেমে এসেছে, সূচকের নীচে ২৮তম স্থানে নেমে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সীমিত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল, কারণ তৎকালীন সরকার সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রদান করেছিল এবং নির্বাচনের ফলাফল স্বীকার করেছিল, সেইসাথে নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং অধিকার প্রবর্তন করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার সাথে সাথে সেই অগ্রগতি উল্টে যায়।
মায়ানমার র্যাঙ্কিংয়ে ৩১টি স্পট নামিয়েছে, এর স্কোর ৩.০৪ থেকে ১.০২ এ নেমে গেছে। “দৃঢ় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং স্থিতিশীল সামাজিক অবস্থার অনুপস্থিতিতে, ব্যাপক জনসমর্থন সহ একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রতিকূল রাজনৈতিক শক্তি এবং আকস্মিক পরিবর্তনের জন্য দুর্বল হতে পারে,” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অলাভজনক অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (বার্মা) অনুসারে, গত বছরে, মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৫০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং ১১,৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্র: https://asia.nikkei.com/
বিএনএ নিউজ২৪,জিএন