24 C
আবহাওয়া
১:১৪ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে:শিক্ষামন্ত্রী

সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে:শিক্ষামন্ত্রী


বিএনএ,ঢাকা:দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।দেশের স্কুল-কলেজে সিনিয়র শিক্ষকদের জন্য আলাদা কোন পদ ছিল না-জানিয়ে তিনি বলেন,সরকার সিনিয়র পদ সৃষ্টি করেছে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে কর্মরত ১৫টি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন,দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষকের সংখ্যা ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪শ ৩০।পৃথিবীর অনেক দেশ আছে তাদের পুরো জনসংখ্যা এরচেয়ে কম।শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটি ৫ লাখ।বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন ১৫ হাজার ৫২৪ জন।শিক্ষার্থী ৪০ লাখ ৮৫ হাজার ২৯১।পৃথিবীর খুব কম দেশ পাওয়া যাবে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রায় ৫ মিলিয়ন।

দীপু মনি বলেন,সরকার শিশুদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে যথেষ্ট আন্তরিক।তবে সকল ঝুঁকি বিবেচনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই শিক্ষার্থীদের ফেরানো হবে।করোনা পরিস্থিতি বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ন ও সংস্কারের একটি সুযোগও তৈরি করেছে।শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ,প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন ও দাতা সংস্থা সবাই একসঙ্গে কাজ করেই সরকার শিশুদের নিরাপদে স্কুলে ফেরাতে চায়।সরকার খুব ভালোভাবে এই সংকটকে মোকাবেলা করেছে। মৃত্যুর হারও কমে এসেছে।এরপরও সংকট তো কিছু না কিছু থেকেই যায়।

তিনি বলেন,অতি সম্প্রতি যে সিদ্ধান্ত এসেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে যখন কথা হচ্ছিল—তিনিও(প্রধানমন্ত্রী)মনে করেন আবাসিক ছাত্রদের যদি ভ্যাকসিন দেয়া যেত,তাহলে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা সম্ভব হতো।প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন,অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সকল শিক্ষককে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।এটি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে অনেক বেশি সহায়তা করবে।এর পরের ধাপে আবাসিক শিক্ষার্থীদের দেয়া যাবে।শিক্ষার্থী তো অনেক।পৃথিবীর কোনো কোনো দেশের পুরো জনসংখ্যার চেয়ে বেশি।যখন সমস্যা নিয়ে কথা বলা হয়,তখন অনেক দেশের সঙ্গে তুলনা করা হয় না।দেশের জনসংখ্যাটা মাথায় রাখা হয় না বলে জানান দীপু মনি।

অনুষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ, ইউনিসেফের বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ভিরা মেনডোকা, ক্যানাডা হাই কমিশনের গেড অফ এইড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্টেন্স ফেন্দ্রা মুন মরিস উপস্থিত ছিলেন।সমাপনী বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য চিলডেনস এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ভ্যান মানেন।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ