বিশ্ব ডেস্ক: মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ৬৪ বাংলাদেশীসহ মোট ১৫৩ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি২০২৫) সেলাঙ্গর রাজ্যের শাহ আলম এলাকার সেকশন ১২-এ একটি নির্মাণ সাইটের শ্রমিকদের আবাসনে এই অভিযান চালানো হয়।
মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে শুরু হওয়া এই অভিযানে প্রায় ৪০০ অভিবাসীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইনের অধীনে বিভিন্ন অপরাধে ১৩৫ জন পুরুষ এবং ১৯ জন নারীকে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন ৬৪ জন বাংলাদেশী, ৫৬ জন ইন্দোনেশিয়ান, ২৭ জন মিয়ানমারের নাগরিক, ৫ জন নেপালি এবং একজন ভারতীয়।
সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর খাইরুল আমিমুস কামারুদিন এক বিবৃতিতে জানান, অভিযানের সময় দেখা গেছে নির্মাণ সাইটের বেশ কয়েকটি ফ্লোরকে বিদেশি কর্মীদের আবাসন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। এসব আবাসন অপরিচ্ছন্ন, নোংরা এবং দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে পরিপূর্ণ ছিল।
এই অভিযান অভিবাসন আইনের অধীনে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ বলে জানায় মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ।
মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী ১৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে
এদিকে মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় পদাতিক বিভাগের সদর দপ্তরের (২ ডিভিশন) মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী বুধবার (৮ জানুয়ারি) মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের বুকিত কায়ু হিতাম এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ১৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে।
অভিযানটি মালয়েশিয়ার ষষ্ঠ পদাতিক ব্রিগেডের দায়িত্ব এলাকার (কেটিজে ৬ ব্রিগেড) আওতায় পরিচালিত হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী জানায়, বুধবার দুপুর ২টার দিকে একটি অভিযান দলের সদস্যরা সীমান্ত এলাকার কাছে প্রধান সড়কের দিকে নদী পেরিয়ে যাওয়া পাঁচজন অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযানের সময় দলটি তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে। ধরা পড়ার চেষ্টার সময় এক অভিবাসী পড়ে গিয়ে সামান্য আঘাত পায়।
“পরবর্তীতে দলটি আশেপাশের এলাকায় লুকিয়ে থাকা আরও আটজন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়, যার ফলে আটককৃতদের মোট সংখ্যা ১৩ জনে পৌঁছায়,” সেনাবাহিনী জানায়।
তদন্তের ফলে জানা যায়, আটককৃত ১৩ জনের মধ্যে ১২ জন মিয়ানমারের নাগরিক এবং একজন থাই নাগরিক।
আটককৃতদের কারোর কাছেই কোনো পাসপোর্ট বা বৈধ নথি ছিল না। সূত্র : ডেইলি স্টার মালয়েশিয়া
বিএনএ,এসজিএন