বিএনএ: মাত্র ৩৩ বছর বয়েছে ফুটবল থেকে অবসর নিলেন গ্যারেথ বেল। সোমবার (৯ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সফল এই উইঙ্গার।
টুইটারে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে অবসর ঘোষণায় বেল লিখেছেন, ‘অনেক ভেবেচিন্তে আমি ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে খেলাটাকে আমি ভালোবাসি সেটা খেলতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয়। এটা সত্যি সত্যিই জীবনের সেরা কিছু মুহূর্ত উপহার দিয়েছে আমাকে। সামনে যাই থাক না কেন, সেই ১৭টি মৌসুমকে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।’
বেলের হাত ধরে ১৯৫৮ সালের পর ওয়েলশ এবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছে। খেলেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও (ইউরো)। ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদে পাঁচবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন বেল। ২০০৬ সালে ওয়েলশ জাতীয় দলে অভিষেক তাঁর। এই ১৬ বছরে ওয়েলশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ (১১১) ও সর্বোচ্চ গোলের (৪১) রেকর্ড গড়েছেন।
ইউরোপের ফুটবলে বেলের হাত ধরেই মূলত ওয়েলশের পুনর্জন্ম ঘটেছে। তার সময়ে দুবার ইউরোয় খেলেছে ওয়েলশ, এর মধ্যে ২০১৬ সংস্করণের সেমিফাইনালেও উঠেছিল।
সাউদাম্পটনের বয়সভিত্তিক প্রকল্প থেকে উঠে আসা বেল ২০০৬ সালে ক্লাবটির মূল দলে অভিষিক্ত হন। পরের বছর টটেনহাম হটস্পারে যোগ দেয়ার পর উইং চিরে বেলের দৌড় দেখেছে বিশ্ব। এরপর তো রিয়ালে যোগ দিলেন এবং তারপর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও করিম বেনজেমার সঙ্গে গড়লেন ‘বিবিসি’ জুটি।
সেভিয়ার বিপক্ষে রিয়ালের ৭-৩ গোলের জয়ে বেলের জোড়া গোল দেখে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম তাঁকে আখ্যা দিয়েছিল ‘ক্যানন।’ কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্যালাতসারের বিপক্ষে ২৫ গজি ফ্রি-কিক থেকে করা গোল, কিংবা রিয়াল ভায়োদোলিদের বিপক্ষে সেই ‘পারফেক্ট হ্যাটট্রিক’ ; দুই পা ও হেডেও গোল!
বিদায়বেলায় আক্ষেপ নেই জানিয়ে গ্যারেথ বেল বলেন, সাউদাম্পটনে বলে প্রথম টাচের পর থেকে লস অ্যাঞ্জেলস পর্যন্ত এমন এক ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছি, যা নিয়ে তিনি ভীষণ গর্বিত।
বিএনএ/এ আর