বিএনএ, চট্টগ্রাম: বঙ্গোপসাগরের সোনার চর এলাকায় ৬টি মাছ ধরার ট্রলারে দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে জলদস্যুর কবলে পড়া একটি ট্রলার আনোয়ারা উপকূলে ফিরে আসলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এতে এক মাঝি গুলিবিদ্ধসহ ৩৫ জন জেলে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় আহত হয় আল্লাহর দান ট্রলারের মাঝি আবদুস শুক্কুর (৩৫), জেলে মহিউদ্দিন (৩০), আলমগীর (৩২), ফোরকান (৩৪), আলমগীর (৪২), আলমান (২২), মিনহাজ (২০), ইউনুস (৩০), আহমদ ছাফা (৩৫), ইদ্রীস (৩০) ও আবদুস সবুর (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত অন্যান্যরা এখনো উপকূলে ফিরে আসেনি। এছাড়া গুলিবিদ্ধ আবদুস শুক্কুর মাঝিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহত সবাই স্থানীয় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আহত মাঝি মাল্লারা জানায়, গত শনিবার আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা শঙ্খ নদীর ফকিরহাট ঘাট থেকে ২০ থেকে ২৫টি মাছ ধরার ট্রলার সাগরে যায়। প্রতিটি ট্রলারে ১২ জন করে মাঝি মাল্লা ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ৩টি ট্রলারে করে ২০ থেকে ২৫ জন জলদস্যু অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের ৬টি ট্রলারকে ঘিরে ফেলে। এসময় জলদস্যুরা গুলি করতে করতে তাদের ট্রলারে উঠে পড়ে। একপর্যায়ে জলদস্যুরা মাঝি ও জেলেদের মারধর করে মালামাল, মাছ , তেল, টাকা পয়সা, মোবাইল সব কিছু ছিনিয়ে নেয়।
ক্ষতিগ্রস্থ ট্রলার আল্লাহর দানের মালিক আবদুস সবুর বলেন, আমার ট্রলারে ১২ জন মাঝি মাল্লা ছিল, মঙ্গলবার দুপুরে আমার ট্রলার ডাকাতের কবলে পড়ে মারধরের শিকার হয়। এতে ট্রলারের সবাই আহত হয়। মাঝি আবদুস শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হয়।
বুধবার ভোরে ট্রলারটি উপকূলে ফিরে আসলে আমরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। মাঝির গায়ে দুই তিনটা গুলি লেগেছে। ডাকাতেরা ট্রলারের মাছ, ২০০ লিটার তেলসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্থ বাকী ট্রলারের ইঞ্জিন সমস্যার কারনে তারা এখনো আসতে পারেনি, আমরা এখান থেকে বিকল্প কয়েকটি ট্রলার পাঠিয়েছি।
আনোয়ারার বার আউলিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ টিটু দত্ত জানান, ডাকাতের ঘটনাটি গভীর সমুদ্রে ঘটেছে, তাই নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডকে জানানো হবে।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ/ বিএম /এইচমুন্নী