বিএনএ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিজয়া দশমীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিমা বিসর্জনে বাধা দেয়া। এরপর মিথ্যা অভিযোগ এনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে। এ অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
রোববার (৯ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ আরও বলেন, গত বুধবার রাতে দূর্গাপূজা শেষে বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার সময় তুচ্ছ ঘটনার জেরে র্যাব সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগা নেতাকর্মীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। ওই ঘটনার জেরে আওয়ামী ক্যাডাররা অবরোধ করে। বলে র্যাব সদস্যরা ক্ষমা না চাইলে তারা প্রতিমা বিসর্জন দিতে দেবে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা এবং হিন্দুদের ধর্মীয় রীতি পালনে বাধা ও ভয়ভীতি সৃষ্টি করে।
রিজভী আহমেদ বলেন, পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর শাহ খুশী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মিথ্যা অভিযোগ এনে নিপুণ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে সাধারণ ডায়েরি করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা বলেন, গত ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্রকামী মানুষকে গুম-খুন-অপহরণ করে, হামলা মামলা নির্যাতন আর বিরোধী দলের সভা সমাবেশে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে রাতের সরকার। অবৈধভাবে টিকে থাকতে গিয়ে গুম, ক্রসফায়ার ও প্রতিহিংসামূলক মামলাকে বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
সত্য প্রকাশ বন্ধের জন্য নতুন নতুন ফরমান জারি করা হচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, দুর্নীতি আড়াল করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ রাষ্ট্রের ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টির জন্যই এই পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
বিএনএ/এ আর