বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে আরও একজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ওই রোগী করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত হননি।
সোমবার (৯ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এসএম হুমায়ুন কবির। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট পরীক্ষায় ওই ব্যক্তি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ট্রান্সপোর্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি করোনার দুই ডোজ টিকাও দিয়েছেন এবং ছিলেন না করোনাও আক্রান্ত। তবে আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অ্যাজমার জটিলতা ছিল রোগীর। মুখের এক পাশে দাঁতের ব্যথাজনিত জটিলতায় তাকে প্রথমে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ২৫ জুলাই চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর মুখের একপাশ ফুলে যায় তার। এ অবস্থায় নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ৬ আগস্ট জানা যায় রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক] হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এসএম হুমায়ুন কবির বলেন, গত ৫ আগস্ট পরীক্ষায় ওই ব্যক্তি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। পরদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে দুই জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসকদের মতে, ব্ল্যাকফাঙ্গাসের চিকিৎসা মূলত নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর। সেজন্য কিছু ওষুধ আছে, আবার তীব্রতা বেশি হলে ইনজেকশন প্রয়োগ হয়। এই চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় এবং রোগীর নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হয় বলে এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল।
এর আগে গত ২৮ জুলাই চট্টগ্রামে প্রথম এক নারী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন ষাটোর্ধ্ব ওই নারী। সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতালের চক্ষু, নাক-কান-গলা, মেডিসিনসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকেরা মিলিতভাবে এই অস্ত্রোপচার করেন।
বিএনএনিউজ/মনির