29 C
আবহাওয়া
৫:৫৭ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাগজোলা খালে মিলল এমপি আনারের হাড়গোড়

বাগজোলা খালে মিলল এমপি আনারের হাড়গোড়

বাগজোলা খালে মিলল এমপি আনারের হাড়গোড়

বিএনএ, ঢাকা: বহুল আলোচিত হত্যাকান্ড ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় গ্রেপ্তার সিয়াম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিআইডি এবং এ অভিযানে হাড়গোড় উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
রোববার (৯ জুন) সকালে সিয়ামকে নিয়ে ভাঙড় এলাকায় পৌঁছে বাগজোলা খাল থেকেই হাড়গোড় উদ্ধার করে সিআইডি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৭ জুন) আনার হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নেপালে আটক সিয়াম হোসেনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শনিবার (৮ জুন) সিয়ামকে ১৪ দিনের রিমান্ড দেন কলকাতার বারাসাতের আদালত। এরপর রোববার (৯ জুন) সকালে তাকে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে কলকাতা পুলিশ। ফরেনসিক পরীক্ষার পর সেই হাড় কার তা স্পষ্ট হবে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে যে বা যারাই জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এরপর সিয়ামকে নেপালে আটকের খবর পেয়ে ১ জুন সেখানে যান ডিবির হারুন। ৪ জুন নেপাল থেকে ফিরে শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে নেপালের চুক্তি রয়েছে। ভারতীয় পুলিশের কাছে সিয়ামকে দিলেও হবে। কারণ তাকে নিয়ে আলামত উদ্ধারসহ তদন্ত এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজিম। বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস।

২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাহাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে দুই দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। আর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বারাসাতের আদালত।

এ ছাড়া বর্তমানে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকা সিয়ামের বিরুদ্ধে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আমানের সহযোগী সাইফুল মেম্বারকেও রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ