আজানের সুমধুর ধ্বনিতে পবিত্র রমজান মাসে প্রভাবিত হয়ে, একজন ইউক্রেনীয় তরুণী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ঘটনাটি ৭ এপ্রিলের।
তুরস্কের প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা ডেইলি সাবাহ জানায়,ইউক্রেনীয় তরুণী দারিয়া ইয়ারোশেঙ্কো যখন তার স্বামীর সাথে সফরের সময় তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম বুরসা প্রদেশের ইজনিক জেলায় একটি রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন, তখন তিনি হাগিয়া সোফিয়ার চার্চ থেকে প্রার্থনার আজান শুনতে পান, যা ওরহান মসজিদ নামেও পরিচিত।
আযান শুনে মুগ্ধ হয়ে ইয়ারোশেঙ্কো সোজা মসজিদে চলে যান এবং আজান প্রদানকারী মোয়াজ্জিন ওসমান চাকমাকের সাথে দেখা করেন। মোয়াজ্জিনের কণ্ঠে আজানের ধ্বনিতে খুব মুগ্ধ হবার কথা তাকে জানান। সে সাথে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছাপোষন করেন।
ইয়ারোশেঙ্কো বলেন, আমি প্রথমবার যখন আজানের ধ্বনি শুনতে পাই, “আমি আমার ভিতরে কিছু একটা কাঁপতে লাগলাম। আমি ইন্টারনেটে কুরআন নিয়ে গবেষণা করেছিলাম এবং তারপর আমি একজন মুসলিম হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম,”।
ইউক্রেনীয় এই তরুণী বর্তমানে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইয়ালোভাতে বসবাস করেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তার নাম পরিবর্তন করে ডেরিয়া রাখা হয়েছে।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে তিনি খুব প্রভাবিত হয়েছেন উল্লেখ করে ইয়ারোশেঙ্কো বলেন যে তিনি তার আত্মীয়দের নিয়ে চিন্তিত। তিনি যোগ করেছেন যে যুদ্ধ শেষ হলে তিনি তার দেশে ফিরে আসবেন।
ওরহান মসজিদের ইমাম মুফতি উজায়ের ইয়াভাস বলেন যে, ইয়ারোশেঙ্কো আজানের আহ্বানে প্রভাবিত হওয়ার পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। “পবিত্র রমজান মাসে সংঘটিত এই বিস্ময়কর ঘটনার জন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত,” ইয়াভাস বলেন, তারা ইয়ারোশেঙ্কোকে একটি কোরআনও উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের বোন, তার স্বামী এবং আমাদের মুয়াজ্জিনকে অভিনন্দন জানাই যারা নামাজের জন্য সুন্দর কন্ঠে মসজিদে আজান দেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের মতে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এর পর থেকে ভীতসন্ত্রস্থ ৪০-৪৫লাখ ইউক্রেনের নাগরিক দেশ ছেড়ে প্রতিবেশি দেশ সমূহে পালিয়ে যান। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ি, ইউক্রেনে প্রায় ১৫০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আড়াই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহ ও সর্বস্ব হারিয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪,এসজিএন