25 C
আবহাওয়া
৫:০৬ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৫, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » কথা পরিষ্কার, জাতীয় ঐক্য হবে না!

কথা পরিষ্কার, জাতীয় ঐক্য হবে না!


বিএনএ, ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জন্ম নেয়া কিংস পার্টি খ্যাত জাতীয় নাগরিক পার্টি –এনসিপি’র সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল –বিএনপির বিরোধ এখন তুঙ্গে। বিএনপির অভিযোগ, সদ্য প্রকাশিত দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এনসিপি। তারই ধারাবাহিকতায় ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ গণ পরিষদ নির্বাচন, সংবিধান বাতিলের মতো দাবি উপস্থাপন করেছে।

YouTube player

সম্প্রতি গণপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে বলে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম যে বক্তব্য রেখেছেন, তা নাকচ করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিলে, শুভেচ্ছা বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, এখানে একসঙ্গে গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো জাতীয় ঐক্য, এ বিষয়ে হয়তো হবে না, একটি মেজর পলিটিক্যাল পার্টির সদস্য হিসেবে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হবে সবচেয়ে জরুরি এবং আমাদের অগ্রাধিকার।’

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে গত ৫ই ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। তিনি মনে করেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে সহায়তা করবে।

ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুজিবুর রহমানও অংশ নেন। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিজয়ের পর এখন অনেকের কথায় ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতি আনুকূল্য দেখা যাচ্ছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।

সব ইসলামি দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আসুন আমরা যাঁরা ইসলাম চাই, তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হই। ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাই। কোরআনের বিধান চালু করার জন্য আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি।’

একই মঞ্চে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী নেতাদের বক্তব্যেও পরস্পরের মধ্যে বিরোধের বিষয়টি উঠে এসেছে। জামায়াত ইসলামী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুরু থেকে অনির্ধারিত সময় দিতে প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি করেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধন ফিরে পেতে আবেদন করা জামায়াত ইসলামী।

একই দাবি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পৃস্টপোষকতা ও উৎসাহে সদ্য আত্মপ্রকাশিত জাতীয় নাগরিক পার্টিও। ফলে জামায়াত ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে এক ধরনের রাজনৈতিক যোগসূত্র পাচ্ছে বিএনপি।

জুলাই আন্দোলনের আগে-পরে ‘শেখ হাসিনা হঠাও’ এক দফা দাবিতে জামায়াত ইসলামী ও বিএনপির মধ্যে যে অঘোষিত ঐক্য হয়েছিল তা এখন নেই বললেই চলে। সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে ঐক্যের যে ফাটল ধরেছে, তা গত ৭ মাসে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে।

সাম্প্রতিক দুই দলের নেতাদের কথাবার্তায় এটা স্পষ্ট যে বিএনপি আর জামায়াতের দুটি পথ যে আলাদা হয়ে গেছে, নিকট ভবিষ্যতে তা এক হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমনটি মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনএ/ সৈয়দ সাকিব

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ