বিএনএ ডেস্ক: সুদসহ ব্যাংকগুলো প্রতি মাসের ঋণস্থিতির হিসাব করে। যে কারণে নতুন করে কোনো ঋণ বিতরণ না হলেও বেড়ে যায় স্থিতি। তবে জানুয়ারিতে আগের মাস ডিসেম্বরের তুলনায় বেসরকারি খাতের ঋণস্থিতি কমেছে ১০৭ কোটি টাকা। যদিও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমানতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে খুব কম। বিভিন্ন কারণে অনেক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন গ্রাহক। ফলে কয়েকটি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিবদ্ধ নগদ জমা (সিআরআর) সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়ে নিয়মিত জরিমানার মুখে পড়ছে। এসব ব্যাংক যে পরিমাণ ঋণ আদায় করেছে, বিতরণ করতে পারছে সে তুলনায় কম।
সামগ্রিকভাবে বেসরকারি খাতে ঋণ চাহিদা বাড়লেও তহবিলসংকটের কারণে অনেক ব্যাংক চাহিদামতো সরবরাহ করতে পারছে না। বিশেষ করে বিভিন্ন জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া ডলারসংকটের এ সময়ে কম প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ঋণ দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সব মিলিয়ে ঋণস্থিতি কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা। আগের মাস ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৪ লাখ ২৬ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে আগের মাসের তুলনায় ঋণস্থিতি কমেছে। অবশ্য আগের বছরের জানুয়ারিতে ঋণস্থিতি ছিল ১২ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এক বছরে ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ